বিএনপি’র আমলেই শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ছিল, আওয়ামী লীগ সরকার এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে, বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় মন্ত্রী ঢাকায় তার সরকারি বাসভবন থেকে বাংলাদেশ চার্টার্ড একাউন্টস ইনস্টিটিউট আয়োজিত সেরা অটোমেটেড আর্থিক প্রতিবেদন পুরস্কার-২০২১ অনুষ্ঠানে অনলাইনে প্রধান অতিথির বক্তব্যদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য ‘সরকার দলীয়করণ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছে’ এবিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাস-দলাদলির কথা যদি বলেন, শিক্ষাঙ্গনে যে কি পরিমাণ সন্ত্রাস হয়েছে, তা ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মারামারিতে বুয়েট শিক্ষার্থী সনির মৃত্যু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপির নিয়োগ করা ভিসি’র রাতের বেলা অফিস দখল করা থেকেই বোধগম্য। মির্জা ফখরুল সাহেব যা বলেছেন, সেগুলো তাদের বেলাতেই প্রযোজ্য।’
প্রকৃতপক্ষে গত সাড়ে ১২ বছরে শিক্ষাঙ্গনে সেশনজট অনেক কমে গেছে, একেবারে নেই বললেই চলে আর বিএনপি-জাতীয় পার্টির আমলে চার বছরের কোর্স শেষ করতে সাত বছর লেগে যেতো, বলেন ড. হাছান মাহমুদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষা ব্যবস্থাও উন্নত হয়েছে। একসময় নকল করে পরীক্ষা দেয়া একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছিল, এখন সেটা পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দেশের ভবিষ্যৎ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, তারা যাতে ঠিক শিক্ষা লাভ করে ঠিক সময়ে বেরিয়ে আসতে পারে সেবিষয়ে সরকার অত্যন্ত যত্নবান এবং এবিষয়ে অনেক সফলতা এসেছে।
এর আগে চার্টার্ড একাউন্টস ইনস্টিটিউটের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, আর্থিক প্রতিবেদনে অটোমেশন পদ্ধতি চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে দেশকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট মাহমুদুল হাসান খসরুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী সাবেক সিনিয়র সচিব শুভাশিস বোস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।