বান্দরবানে টানা ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী স্থানীয় জনগন। অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে রাস্তায় মাটি এবং পানি জমে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পাহড়ি এলাকার জনসাধারণ।
তবে দুদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলেও বুধবার এর ভারি বর্ষনের কারণে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাহাড় ধসের ঝুকিতে আছে পাহাড়ে বসবাস কারীরা। বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে।পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিপূর্ন বসতি গুলো ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নিতেও করা হয়নি কোনো মাইকিং।
জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল মঙ্গলবার থেকে বান্দরবান জেলা শহর’সহ আশপাশের এলাকাগুলোতে টানা ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। তবে মঙ্গলবার সকাল হতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেকগুন বেড়ে গেছে। তার আগে গত দুদিনে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিলো ৪১ মিলি মিটার।
বৃষ্টিতে ইতিমধ্যে বান্দরবান পৌরসভার বনরুপা পাড়া, কালাঘাটা, ইসলামপুর, কাসেমপাড়া, হাফেজঘোনা, বাসষ্ট্যান্ড এলাকা’সহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে। এছাড়াও বান্দরবান-কেরানীহাট সড়ক, রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, লামা-সূয়ালক রুটের অনেকস্থানে পাহাড় ধসে রাস্তায় মাটি জমে গেছে। রাস্তায় পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে পৌর এলাকার অভ্যন্তরিন বিভিন্ন সড়কে।
এদিকে নির্মানাধীন কেরানিহাট-বান্দরবান সড়কের শহরের বাস ষ্টেশন এলাকায় অপরিকল্পিত সেতু নির্মান কাজের জন্য সড়কের উপরে জলাবদ্ধতার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার লোকজন।
অন্যদিকে বান্দরবানের মৃত্তিকা ও পানি সংরক্ষণ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, গত দুদিনে বৃষ্টিপাতের পরিমানটা কম ছিলো। তবে মঙ্গলবার সকাল পর থেকেই ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টির লক্ষণ খুব একটা ভালো মনে হচ্ছেনা। এই ধারা অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কা বাড়ছে। পাহাড় ধসের ঝুকিতে বসবাসকারীদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া দরকার ।
এ বিষয়ে বান্দরবান পৌরসভা মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দূর্ঘটনার শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। ঝুকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হচ্ছে। সরিয়ে নিতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্টরাও কাজ করছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় তৎপর রয়েছে প্রশাসন।