করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর বিস্তার রোধকল্পে সরকার ঘোষিত সার্বিক কার্যাবলী চলাচল বিধি-নিষেধ সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষে দিনব্যাপী জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের অভিযান কার্যক্রম।
আজ মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ১৮ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, বিআরটিএ চট্টগ্রামেরর ২ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর ১জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটসহ মোট ২১ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকানপাট শপিংমল খোলা রাখা, অপ্রয়োজনে রাস্তায় ঘুরাফেরা করা, ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত রাস্তায় বের হাওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধে মোট ২১৬ টি মামলায় ৮৬ হাজার ৪০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত ও মনিটরিং কার্যক্রমে সেনাবাহিনী, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যগণ সার্বিক সহযোগিতা করেন।
চকবাজার, বাকলিয়া ও কর্ণফুলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত, এ সময় ৩৩ টি মামলায় ৫০০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
পাশাপাশি আকবরশাহ, বায়েজিদ, হালিশহর ও পাহাড়তলি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ রানা, এ সময় ২২ টি মামলায় মোট ১২৪০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
খুলশী, চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজ ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন, এ সময় ৩১ টি মামলায় ৮৪৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইনামুল হাছান ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান চকবাজার, বাকলিয়া ও কর্ণফুলী এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন, এ সময় ১৭ টি মামলায় ১৬০০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
চান্দগাঁও, পাচলাইশ ও খুলশী এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব খিন ওয়ানু ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সোনিয়া হক এ সময় ১১ টি মামলায় ৬০৫০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
নগরীর বন্দর, পতেঙ্গা ও ইপিজেড এলাকায় অভিযান পরিচালনায় করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব প্লাবন কুমার বিশ্বাস তিনি ৯ টা মামলায় মোট ৯,৫০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
অন্যদিকে নতুনব্রীজ, মইজ্জারটেক এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন বিআরটিএ এর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার দাস ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহারিয়ার মুক্তার, এ সময় ১৬ টি মামলায় ৪১০০ টাকা অর্থদন্ড আদায় করেন।
বাকলিয়া, চকবাজার, চান্দগাঁও, পাচলাইশ, হালিশহর, পাহাড়তলি, লালখান বাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মারুফা বেগম নেলী, তিনি ২১টি মামলায় ৪৩০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বিস্তার রোধে জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।