করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। এই বিধিনিষেধ চলাকালে গার্মেন্টসহ শিল্পকারখানা খুলবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন চলমান থাকবে। এই মুহূর্তে শিল্পকারখানার মালিকদের দাবি আমরা মানতে পারছি না।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিধিনিষেধের মধ্যে টিকাদান কার্যক্রমও চলবে বলে জানান মন্ত্রী।
মঙ্গলবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করণীয় ঠিক করতে সচিবালয়ে উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ রোধে সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) চলছে। গত শুক্রবার ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত।
পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লকডাউন চলাকালে বন্ধ রয়েছে গার্মেন্টসহ সব শিল্পকারখানা। তবে শিল্প মালিকরা ৫ আগস্টের আগে কারখানা খুলে দেয়ার দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু সেই দাবি নাকচ করে দেওয়া হলো আজকের বৈঠকে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড নিয়ে গেলেই টিকা দেওয়া যাবে। যাদের এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড নেই তাদেরও কীভাবে টিকার আওতায় আনা যায় সেটা আমরা ভেবে দেখছি।’
দুপুরে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পুলিশ প্রধান, বিজিবি প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।