‘হাসপাতালগুলো করোনা আক্রান্ত রোগী তৈরি করে না। যেখান থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে যেমন- অলিগলি, চায়ের দোকান, বাজার-ঘাট সেখানে নজর দিতে হবে। মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে হবে। এ ভাইরাস থেকে মুক্তির উপায় হলো- একে নিয়ন্ত্রণ করা।’
শনিবার (১০ জুলাই ) দুপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিং-এ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ ডোজ, চীনের প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের ৫০ লাখ এবং ফাইজার-বায়োএনটেক এর ৬০ লাখ ডোজ টিকা এ সময়ের মধ্যে পাওয়া যাবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৪০০ শয্যার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) এবং ৪০০ শয্যার হাই-ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটসহ (এইচডিইউ) হাজার শয্যাবিশিষ্ট ফিল্ড হাসপাতাল হচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনা শনাক্তের জন্য দেশে ৫৫০টি পিসিআর ল্যাব রয়েছে। রোগীদের চিকিৎসার জন্য ১৬ হাজার বেড রয়েছে। ১০০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে। তারপরেও বিরোধী দল শুধু সরকারের সমালোচনা করছে। অহেতুক সরকারের সমালোচনা না করে মানুষের পাশে দাঁড়ান, মানুষকে সাহায্য করুন।
জাহিদ মালেক বলেন, গত ১০ দিনে কমপক্ষে ৯০ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি রোগী বেড়েছে ৮ গুণ। শতকরা ৮০ ভাগ শয্যায় রোগী ভর্তি রয়েছে। দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী দেশের সংশ্লিষ্ট সব হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য শয্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে সুন্দর অবকাঠামো রয়েছে। বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হবে। আইসিইউ, এইচডিইউ শয্যার ব্যবস্থা করা হবে এবং জনবলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে। আশা করছি, এখানে এক হাজার থেকে ১২০০ শয্যার হাসপাতাল চালু করা সম্ভব হবে।