মাত্র বিশ টাকায় মিলতে পারে করোনা থেকে মুক্তি। বলছি আইভারমেকটিন অর্থাৎ স্কাবো-৬ এর কথা। চিকিৎসকরা বলছেন, টিকা সংকটের এই সময়ে আইভারমেকটিন হতে পারে করোনা থেকে মুক্তির বিকল্প ভরসা। তাদের দাবি, টিকা বাণিজ্যের কারণে স্বল্পমূল্যের কার্যকর ওষুধটি অনুমোদন দিচ্ছে না বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এ লণ্ডভণ্ড ভারত। টিকা আর চিকিৎসা সংকটে ধুঁকতে থাকা দেশটির মুম্বাই ও কেরালার চিকিৎসকরা আইভারমেকটিন ব্যবহার করে ভালো ফল পান।
শুধু ভারতই নয়, মেক্সিকো ও পেরুসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশ আইভারমেকটিন ব্যবহার করে করোনা যুদ্ধ সামাল দিচ্ছে। মাত্র ২টি ট্যাবলেট সেবনে ৪৮ ঘণ্টায় করোনার বিরুদ্ধে ভালো ফল পাওয়ার দাবি সে সব দেশের চিকিৎসকদের।
বাংলাদেশ মেডিকেলে করোনা আক্রান্ত ৬৫ জনের দেহে ওষুধটি প্রয়োগ করে সফলতা পেয়েছেন ডক্টর তারেক আলম। তিনি বলেন, কার্যকর ওষুধটি টিকা বাণিজ্যের কারণে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাচ্ছে না।
চিকিৎসা বিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. তারেক আলম বলেন, টিকা তৈরি করতে যদি বিলিয়ন ডলার খরচ হয় তাহলে টিকার বাজার কখনো এগিয়ে যেতে পারবে না। করোনার স্থায়ী ওষুধ আসতেছে বাজারে।
একদিকে টিকা সংকট অন্যদিকে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় আইভারমেকটিনকে করোনা যুদ্ধের বিকল্প অস্ত্র বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
অধ্যাপক ডা. তারেক আলম, এখন যে ওষুধ দেয়া হচ্ছে অবশ্যই এটা সাময়িক প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে। ওষুধ দেয়ার পরও কেউ যদি করোনায় সংক্রমিত হয় তাহলে তখন ঝুঁকি কম থাকবে।
করোনা মোকাবিলায় আইভারমেকটিন পরীক্ষিত না হলেও মানবদেহে এর কোনো ক্ষতিকর প্রভাব নেই। তাই ওষুধটি যে কেউ ব্যবহার করতে পারে বলছেন এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. হারুন রশিদ বলেন, যেহেতু সস্তা, আমাদের মতো গরিব দেশে যদি এই ওষুধটি কাজ করে তাহলে বিরাট একটা সাফল্য আনতে পারবে।
১৯৭৫ সালে আইভারমেকটিন আবিষ্কারের পর ১৯৮১ সাল থেকে ওষুধটি সার্স মহামারি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।