শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সরকার বিভিন্ন স্থানে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছে। ভবিষ্যতে সকল জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে। অনেক সংশয়ের মধ্যে বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হলেও ইতোমধ্যে সেই সংশয় মিথ্যা প্রমাণিত করে নিজেদের প্রমাণ দিয়েছে। আগামীতে তারাও বিশ্ব র্যাংকিংয়ে স্থান পাবে সেই বিশ্বাস আমাদের আছে।
শনিবার ( ১৯ জুন) গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর অনলাইনে ৪র্থ সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
সমাবর্তনে ডা. দীপু মনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে ডিগ্রি নেওয়ার পর শুধু চাকরির জন্য ঘুরবেন, এটা যেন না হয়। নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। অন্যের চাকরির উৎস হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
সমাবর্তনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, গ্রিন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম সামদানী ফকির, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ ফায়জুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রূপকল্প ২০৪১ ছাড়াও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা তাতে নিঃসন্দেহে বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শুধু চাকরির চিন্তা করলে চলবে না। নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চিন্তাও রাখতে হবে। জ্ঞানার্জনের পথ কখনও শেষ হয় না। নিজের জানার পথ সব সময় খোলা রাখতে হবে। পরিস্থিতি ভালো কিংবা খারাপ হোক, নিজের শিক্ষার দ্বার সব সময় চালু রাখতে হবে। কারণ, মানুষের শিক্ষার সিংহভাগই প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে অর্জিত হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শুধু অর্থের পেছনে ছুটলে চলবে না। অর্থের চেয়ে মেধা ও সময়ের মূল্য অনেক বেশি। নেতিবাচকতা নয়, সব সময় ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করতে হবে। অর্থের প্রতিযোগিতা যেন প্রতিহিংসায় পরিণত না করে।
উপাচার্য বলেন, সমাবর্তনের মাধ্যমেই একজন শিক্ষার্থী বৃহত্তর কর্মজীবনে প্রবেশ করে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতাও বাড়ে এই সমাবর্তন থেকে। সুতরাং গ্রিন ইউনিভার্সিটির প্রত্যেক গ্রাজুয়েটকে সেই দায়িত্ব নিতে হবে।
সমাবর্তনে মোট ১ হাজার ৪৬৪ জনকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৬ জনকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল এবং ১৩ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল দেওয়া হয়।