আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘সংকটকালীন সময়োপযোগী’ বলে মন্তব্য করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ছয় লাখ ৩১ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। করোনা পরিস্থিতির কারণে বাজেটে বিশেষ কিছু বরাদ্দও রাখা হয়েছে। তুলনামূলকভাবে বেড়েছে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দও।
বাজেট উপস্থাপনের পর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটি জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য দিয়ে দেশের সব মানুষের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তাসহ একটি বাস্তবভিত্তিক সংকটকালীন সময়োপযোগী বাজেট।’
‘এবারের বাজেট উন্নয়নবান্ধব বাজেট’, যোগ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
বাজেটে মোট ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৬.২ শতাংশ। এই হার গত বাজেটে ছিল ৬.১ শতাংশ। বাজেটের এই ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস হতে এক লাখ ১৩ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। এ ছাড়া বৈদেশিক উৎস হতে এক লাখ এক হাজার ২২৮ কোটি টাকা সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে।
এ ছাড়া এবারের বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ ধরা হয়েছে দুই লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। এ ছাড়া এবার উন্নয়ন ব্যয়ও বাড়ানো হয়েছে শতকরা ১৪ ভাগ। এবার উন্নয়ন খাতের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দুই লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা।
এ ছাড়া মহামারী করোনা মোকাবিলায় এবার ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাজেটে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে তিন লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা। গোটা বাজেটের মতোই পরিচালন ব্যয়ও বাড়ানো হয়েছে প্রায় ১২ ভাগ।
ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেটে অর্থ সংগ্রহের জন্য রাজস্ব খাতের আয় ধরা হয়েছে তিন লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তিন লাখ ৩০ হাজার ৭৮ কোটি। কর আদায় হবে ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা।
বিদায়ী অর্থবছর অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারের দেওয়া মূল বাজেটের আকার ছিল পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার। সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।
১৯৭২ সালের ৩০ জুন ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ। ওই বাজেটের আকার ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার। এর ওপর ভিত্তি করেই এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশের অর্থনীতি।
এবারের বাজেট অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের দায়িত্বকালের তৃতীয় বাজেট, আওয়ামী লীগ সরকারের ২১তম এবং বাংলাদেশের ৫০তম বাজেট। আর, এটি হবে বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালীন দ্বিতীয় বাজেট অধিবেশন।