সাতক্ষীরায় এক সপ্তাহের লকডাউন

সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় এক সপ্তাহ লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসক। করোনা সংক্রমণ ব্যাপকহারে বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আগামী শনিবার সকাল ৬টা থেকে জেলাব্যাপী সাত দিনের লকডাউন কার্যকর করা হবে।

জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘লকডাউনের সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত জরুরি নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া এ সময় সকল প্রকার গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। লকডাউনের সময় সাধারণ মানুষের চলাচল ও ভিড় এড়ানোর জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সাতক্ষীরার সঙ্গে যশোর ও খুলনাসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগের পয়েন্টগুলোতে পুলিশ চেকপোষ্ট থাকবে। এসময় সীমান্তে পারাপার বন্ধ থাকবে। শহরে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাধা নিষেধ অমান্যকারীদের জরিমানা করা হবে।’

সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত বলেন, ‘করোনা সংক্রমণরোধে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

এর আগে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের হার কমাতে গত ২৫ মে থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাত দিনের কঠোর লকডাউন শেষে মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে আবারো লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুরে বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। যা চলবে ৯ জুন পর্যন্ত।

৪ জুন থেকে খুলনা মহানগরীর তিনটি থানা এলাকায় এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এ সময় খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা ও খালিশপুর থানা এলাকায় কাঁচাবাজার ও ওষুধের দোকান ছাড়া অন্য সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে।

করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি ও সীমান্ত উপজেলা হওয়ায় কক্সবাজারের টেকনাফ-উখিয়ায় ছয় দিনের লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল থেকে এ লকডাউন কার্যকর হয়।

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রাজশাহীতে জোনভিত্তিক লকডাউন না হলেও জনসাধারণের চলাচল ও গণজমায়েতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাজশাহী নগর ও জেলার সব ধরনের দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও শপিং মল বন্ধ থাকবে।

প্রসঙ্গত: সম্প্রতি সাতক্ষীরা জেলায় করোনা সংক্রমণ হার বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারত ফেরত বৈধ ও অবৈধ যাত্রীদেরকে নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়ে প্রশাসন। এসব যাত্রীদের বিভিন্ন কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমণের হার ৫০ শতাংশ অতিক্রম করায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর লকডাউনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। গত দুই দিনে সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমণের হার ছিল প্রায় ৫৪ শতাংশ। করোনা পজিটিভ নিয়ে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে এবং প্রাতিষ্ঠানিক ও পারিবারিক কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৪৫ জন।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img