ভারতীয় সহ ১৪০টি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত বাংলাদেশে

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। গত কয়েক মাস ধরে করোনার নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১০ দশমিক ১১ শতাংশের ওপরে থাকছে। প্রতিদিন কমবেশি ৩০ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। আর শনাক্তের সংখ্যা দৈনিক হাজারের ওপরে। এমতাবস্থায় করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

রোববার ( ৩০ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর- এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে নতুন নতুন করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২৭টি ইউকে ভ্যারিয়েন্ট, ৮৫টি সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট, পাঁচটি নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট এবং ২৩টি ইন্ডিয়ার ভ্যারিয়েন্ট মিলেছে।

অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, দেশে এ যাবৎ ২৬৩টি সিকোয়েন্স করা হয়েছে। তার মধ্যে ২৭টি ইউকে ভ্যারিয়েন্ট, ৮৫টি সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট, পাঁচটি নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট এবং ২৩টি ইন্ডিয়ার ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। বি.১.৬.৭ এটি ভারতফেরত এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে পেয়েছি আমরা।

তবে এই ভ্যারিয়েন্ট নতুন কোনও বিষয় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত যত রোগী শনাক্ত হবে, সংক্রমণ হবে, নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাবে। সুতরাং ভ্যারিয়েন্ট যা-ই হোক না কেন, আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যার যখন সময় আসবে, তাকে টিকা নিতে হবে। এভাবে আমরা সংক্রমণ কমাতে পারবো। করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img