রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত আগেই ছিল, খোদ কোচের পক্ষ থেকে আগ্রহ দেখানো এরপর বিষয়টি নিয়ে জল্পনা কল্পনা। মৌসুম শেষে মাদ্রিদকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত নিয়েই নিলেন জিনেদিন জিদান। নিজের সিদ্ধান্তের কথা ক্লাবকেও জানিয়ে দিয়েছেন বলে স্প্যানিশ বিভিন্ন গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে।
১৩ বারের ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নদের এবারের আসরটা মোটেই ভাল যায়নি। তার উপর এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের কাছে লা লিগার শিরোপাটাও হারাতে হয়েছে। তখন থেকেই ব্যর্থ মৌসুম শেষে জিদানের নিজ থেকেই চলে যাওয়াটা অনুমেয় ছিল, ঘটলোও তাই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চেলসির কাছে সেমিফাইনালে পরাজয়ের পর ১১ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত রিয়াল কোন শিরোপা ছাড়াই মৌসুম শেষ করেছে। ইতালিয়ান ফুটবল সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো নিজের টুইটারে প্রথম জিদানের ক্লাব ছাড়ার সংবাদটি ব্রেক করেন।
এরপর তার সূত্র ধরে মাদ্রিদের জনপ্রিয় স্পোর্টস দৈনিক মার্কা ও এএস এবং রেডিও স্টেশন ক্যান্ডেনা সার এ বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে। এ ব্যপারে শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষনা আসবে বলেও গণমাধ্যমগুলো ইঙ্গিত দিয়েছে।
মাত্র ১০ দিন আগে জিদান খেলোয়াড়দের বলে দিয়েছিলেন মৌসুমের শেষেই তিন ক্লাব ছাড়তে যাচ্ছেন। জিদানের সাথে মাদ্রিদের বর্তমান চুক্তি ২০২২ সাল পর্যন্ত ছিল। এ্যাথলেটিক বিলাবওয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ী হবার পর জিদান বলেছিলেন, ‘আমি কিভাবে খেলোয়াড়দের বলবো যে আমি চলে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে আমি মৌসুমের শেষ ম্যাচটি পর্যন্ত গুরুত্ব দিতে চাই। এখনো একটি ম্যাচ বাকি আছে এবং সেই ম্যাচেই আমরা আমাদের সবকিছু দিতে চাই। বাকিটা মৌসুমের শেষে দেখা যাবে।’
জিদানের এই সিদ্ধান্ত নিশ্চিত হলে স্প্যানিশ জায়ান্টদের হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে জিদানের চাকরি শেষ হতে যাচ্ছে। ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ বিজয়ী এই খেলোয়াড় ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে সর্বপ্রথম রিয়ালের দায়িত্ব নিয়েছিরেন। এরপরের মৌসুমেই রিয়ালকে লা লিগা শিরোপা উপহার দেন। এরপর তার অধীনে রিয়াল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়ে। ২০১৮ সালের ৩১ মে তিনি রিয়াল ছেড়ে চলে যান। ২০১৯ সালে আবারো ফিরে এসে ২০২০ লা লিগা শিরোপা ও স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা উপহার দেন গ্যালাকটিকোদের।