ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সরকার পতনের পর আর্থিক খাতে ঋণ কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু করেছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। নির্দেশ পেয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে একচেটিয়াভাবে ব্যাংক ঋণ সুবিধা পেয়েছে এস আলম গ্রুপ। বিভিন্ন সময় এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় চট্টগ্রামভিত্তিক এই শিল্পগ্রুপটি।
জানা যায়, নিয়ন্ত্রনাধীন ছয় ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপ ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণের নামে সরিয়ে নিয়েছে অন্তত ৯৫ হাজার কোটি টাকা। এর বেশিরভাগই নেওয়া হয়েছে ব্যাংকিং নিয়ম না মেনে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে।
২০১৭ সাল থেকে গত জুন পর্যন্ত ৬টি ব্যাংক থেকে এসব ঋণ নিয়েছে এস আলম গ্রুপ এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো। এই ঋণের ৭৯ শতাংশই নেওয়া হয়েছে ইসলামী ব্যাংক থেকে। বলা হচ্ছে, এই ঋণের পরিমাণ ব্যাংকিং খাতের মোট বকেয়া ঋণের ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
এস আলম গ্রুপ রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ নিয়েছে। এই ৬ ব্যাংক ছাড়া আর কোন কোন প্রতিষ্ঠানে এস আলম গ্রুপের ঋণ রয়েছে, তার পূর্ণ তদন্ত করতে সময় চাইছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এস আলম গ্রুপ এবং সহযোগীদের কোন ব্যাংক থেকে কত ঋণ:
-ইসলামী ব্যাংক – ৭৪ হাজার ৯০০ কোটি টাকা
-সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক- ৪ হাজার ২০০ কোটি
-গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক- ৫৭৪ কোটি টাকা
-জনতা ব্যাংক – ১৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা
-ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক – ২৫৭ কোটি টাকা
-ইউনিয়ন ব্যাংক- ২ হাজার কোটি টাকা