নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর বেসরকারি উডল্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসকের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুর করার চেষ্টা করলে পুলিশ এসে তা নিয়ন্ত্রণ করে। নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসককে দায়ী করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সিভিল সার্জন বলেন, ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত চিকিৎসকসহ সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতের স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) রাত ১০টার দিকে নাপিতের পোল উডল্যান্ড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী পরিবারটি নোয়াখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেপুর এলাকার বাসিন্দা।
মৃত নবজাতকের বাবা মো. নাজমুল হাসান নাঈম অভিযোগ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে তার স্ত্রী সুবর্ণা আক্তারকে উডল্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করেন। ভর্তির পর আল্ট্রাসনোগ্রাম করে জানানো হয় পানি একটু কম আছে, আর সবকিছু ঠিকঠাক আছে। বিকেলে সিজারিয়ান অপারেশন করবেন ডা. হেমা সানজিদ। বিকেলে হাসপাতালে আসলেও হেমা সানজিদ অপারেশন না করে আর একটি প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখতে চলে যান। পরবর্তীতে তিনি রাত ৮টার পর হাসপাতালে আসলে প্রসূতিকে অপারেশন কক্ষে নিয়ে যান। দেড় ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের জানানো হয় নবজাতক মারা গেছেন। ডা. হেমা সানজিদ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন তিনি।
উডল্যান্ড হাসপাতালের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, এখানে আমাদের কোনো দোষ নেই। ডা. হেমা সানজিদ ওই রোগীর অপারেশন করার কথা ছিল বিকেলে কিন্তু তিনি সেই অপারেশন রাতে করায় শিশুটি মারা গেছে। শিশুটির মৃত্যুর পরপরই তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যান।
অভিযোগের বিষয়ে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ডা. হেমা সানজিদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার জানান, চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগটি আমরা পেয়েছি। মৃত শিশুর পরিবার, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং অভিযুক্ত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। ঘটনায় কারো অবহেলা থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এন-কে