ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, গতকাল একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ছিল। সেখানে পুলিশ কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম পারভেজ সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন।
রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ২টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনের শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে নিহত পুলিশ সদস্য মো. আমিরুল ইসলাম পারভেজের জানাজা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা গাইবান্ধা থেকে একজন ও ঢাকার ডেমরা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। খোঁজ নিয়ে ও জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে- দুজনই বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত। তাদের বিভিন্ন সময় মিছিল মিটিংয়ে দেখা গেছে।
কমিশনার বলেন, কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম পারভেজ পুলিশের গর্বিত সদস্য। তাকে কীভাবে পিটিয়ে ও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার মৃত্যু নিশ্চিত করার পরও কীভাবে তাকে লাথি দেওয়া হয়েছে- যা তাকে শুধু অপমান নয়, পুরো পুলিশ বাহিনীকে অপমান করা হয়েছে।
হাবিবুর রহমান বলেন, এই নৃশংস ঘটনার যেন ন্যায় ও যোগ্য বিচার হয়, এজন্য যা যা কিছু করা দরকার ডিএমপির পক্ষ থেকে করা হবে।
ইতোমধ্যে আমরা ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের পর ছবি মিলিয়ে দুজনকে শনাক্ত করে গাইবান্ধা থেকে একজন এবং ঢাকার ডেমরা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে কারা কারা জড়িত ও কাদের ইন্ধন রয়েছে, তাদের সবাইকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। সেসময় একটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশ হয়েছিল, সেখানে দলটির সব কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। একাধিক স্থানে হামলা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও গেট ভাঙা হয়েছে।
এদিকে জানাজার নামাজ পূর্ব বক্তব্যে কমিশনার বলেন, বিএনপি মহাসমাবেশের নামে গতকাল ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা ও পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সব সময় কর্মী বান্ধব। গতকাল বিএনপির মহাসমাবেশ কর্মসূচির নামে নৈরাজ্য চালিয়েছে। সেখানে ডিএমপির কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম পারভেজ নামে এক সদস্য জীবন দিয়েছেন। তার পরিবারের ক্ষত হয়তো পূরণীয় নয়। তবে আমরা ডিএমপি আমিরুলের পরিবারের পাশে থাকবো। তার পরিবার ও সন্তানদের লেখাপড়ার সব খরচ বহন করবে ডিএমপি।
জানাজা শেষে নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিনুলের মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ডিএমপি কমিশনার ও পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
এমজে/