কক্সবাজারের টেকনাফে সাগর উপকূল থেকে মিয়ানমার হতে পাচার হয়ে আসা বস্তাভর্তী ৭ লাখ ইয়াবা জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে কোস্টগার্ড সদস্যরা। তবে ইয়াবার এই বৃহৎ চালানের সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি তারা।
আজ বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এইচ এম লুৎফুল লাহিল মাজিদ।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে কোস্টগার্ড জানতে পারে, টেকনাফ থানার আওতাধীন টেকনাফ সদর ইউপি মেরিন ড্রাইভ-সংলগ্ন মিঠাপানির ছড়া ফিশিং ঘাট এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা ইয়াবার একটি বড় চালান টেকনাফে প্রবেশ করবে। ওই সংবাদের তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিসিজি টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এইচ এম লুৎফুল লাহিল মাজিদের নেতৃত্বে কোস্টগার্ডের একটি অভিযানিক দল ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। এরপর গভীর রাত আনুমানিক ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে একটি ফিশিং বোট সমুদ্র হতে মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন মিঠা পানির ছড়া ঘাটে পৌঁছে ৪ বস্তাসহ ৪ ব্যক্তিকে ঘাটে নামিয়ে দিয়ে বোটটি ফের সমুদ্রে চলে যায়। ফিশিং বোট হতে নামা ব্যক্তিদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে কোস্ট গার্ড সদস্যরা তাদেরকে থামানোর জন্য সংকেত দেয়। এ সময় ওই ৪ ব্যাক্তি কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে বস্তাগুলো ফেলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এতে অভিযানিক দল তাদের ধাওয়া করলে তারা দ্রুত ঝাউবনের গহীনে পালিয়ে যায়। এরপর তাদের ফেলে যাওয়া বস্তাগুলো তল্লাশি করে ৭ লাখ পিস ইয়াবা জব্দ করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও জানান, জব্দ করা ইয়াবার চালানটি পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
এমজে/