কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড়ধস ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রশাসন বাঘাইহাট বাজার ও মাচালং সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এতে সাজেকে আটকা পড়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা প্রায় ৩ শতাধিক পর্যটক।
আজ বুধবার (৯ আগস্ট) খবর পাওয়া গেছে আজও পর্যটকরা সাজেকে অবস্থান করছেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে বাঘাইছড়ি উপজেলার পৌরসভাসহ মোট ছয়টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং বর্তমানে অনেক পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে।
এদিকে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সাজেক থেকে কোনো গাড়ি ছেড়ে আসেনি বা বাঘাইহাট থেকেও সাজেকে কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারেনি। এ কারণে সাজেকে অবস্থানরত পর্যটকরা সেখানেই আটকা পড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবারও পর্যটকরা সেখানেই অবস্থান করছেন।
সাজেকের কুড়েঘর রিসোর্টের মালিক জোতেন ত্রিপুরা বলেন, বর্তমানে সাজেকে ২০ থেকে ২৫টি গাড়ি আটকে আছে। এখানে আটকা পড়া পর্যটকের সংখ্যা তিন শতাধিক হবে। পর্যটকেরা বর্তমানে যার যার ভাড়া করা রিসোর্টে অবস্থান করছেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার গণমাধ্যমকে জানান, সাজেকে প্রায় তিন শতাধিক পর্যটক আটকে রয়েছেন। তারা গতকাল সাজেকে বেড়াতে এসেছেন। বর্তমানে তারা রিসোর্টে অবস্থান করছেন। আমি বাঘাইহাট জোনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি বাঘাইহাটে পানি কিছুটা কমেছে। কিন্তু যাতায়ত ব্যবস্থা পুরোপুরি ভালো হয়নি।
তিনি আরও জানান, অনেক পর্যটক নিজ দায়িত্বে কোনো সময় গাড়িতে ও কোনো সময় নৌকা পার হয়ে চলে যাচ্ছেন বলে জানতে পেরেছি।
এমজে/