দুর্গম জনপদের পাঁচ শিক্ষার্থীকে বাইসাইকেল বিতরণরে পর এবার খাগড়াছড়ির গোমতি বীরেন্দ্র কিশোর রোয়াজা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪০জন গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা পেল স্কুল ব্যাগ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক পিজি হাসপাতাল) মনোরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামছুল আহসান মাকসুদ‘র সহযোগীতায় সাউথ এশিয়ান সোসাইটি ফর সেক্সুয়াল মেডিসিন এর উদ্যোগে এসব স্কুল ব্যাগ বিতরণ করা হয়।
২২ (জুলাই) সকাল ১১টার দিকে গোমতি বীরেন্দ্র কিশোর রোয়াজা উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে স্কুল ব্যাগ বিতরণ করেন মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক। অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গার গোমতি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মনির হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এসময়, গোমতি বীরেন্দ্র কিশোর রোয়াজা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল হুদা, মাটিরাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জয়নাল, সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক কুতুব উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমন মানবিক উদ্যোগের প্রশংসা করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক বলেন, একজন চিকিৎসকের এ মানবিক উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। ভবিষ্যতেও এমন সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহবান জানান তিনি। গোমতি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মনির হোসেন বলেন, দুর্গম জনপদের গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
স্কুল ব্যাগ পেয়ে উচ্ছসিত ৮ম শ্রেনির শিক্ষার্থী বাবলু ত্রিপুরা বলেন, আমার আগে ব্যাগ ছিল না। স্কুলে আসার পথে বৃষ্টিতে বই-খাতা সব ভিজে যেত। এ ব্যাগ পেয়ে আমি খুব আনন্দিত। এখন আর আমার বই-খাতা ভিজে যাওয়ার সুযোগ নেই। অপর শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা নিশিথা বলেন, আমার বাবার পক্ষে একটি ব্যাগ কিনে দেয়া যখন অসম্ভব তখন এ ব্যাগ পেয়ে আমি খুব খুশি। ৫/৬ কিলোমিটার দুর থেকে ১৪টি বই নিয়ে স্কুলে আসা খুব কষ্ট জানিয়ে গালামনি পাড়া থেকে আসা শিক্ষার্থী মুকুন্তি ত্রিপুরা বলেন, এ ব্যাগ আমার দীর্ঘদিনের কষ্ট দুর হবে।
দুর্গম জনপদের বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ হিসেবে স্কুল ব্যাগ প্রদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক পিজি হাসপাতাল) মনোরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামছুল আহসান মাকসুদকে ধন্যবাদ জানান গোমতি বীরেন্দ্র কিশোর রোয়াজা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল হুদা।
এমজে/