ঝালকাঠির সদরের ছত্রকান্দা এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাস উল্টে পুকুরে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুই শিশুও আছে।
আহত হয়েছেন আরও অনেকে। বাসের মধ্যে আরও যাত্রী থাকায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার (২২ জুলাই) সকাল পৌনে ১০টার দিকে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নামপরিচয় জানা যায়নি।
জানা গেছে, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির নাম বাশার স্মৃতি পরিবহন। পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে বরিশাল যাচ্ছিল বাসটি। পথে ছত্রকান্দা এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সকাল পৌনে ১১টার দিকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছিলেন ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আফরুজুল হক টুটুল।
এসপি জানিয়েছেন, সকাল পৌনে ১১টা পর্যন্ত ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ২০ জনকে।
আধা ঘণ্টা পর সর্বশেষ তথ্য জানতে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ সুপার ফোন ধরেননি। তখন যোগাযোগ করা হয় সিভিল সার্জন ডা. জহিরুলের সঙ্গে। সিভিল সার্জন ১৫ জনের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন।
সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলার ১০ মিনিট পর যোগাযোগ করা হয় বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে।
তিনি বলেন, কিছুক্ষণ আছে আরও দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য দেন তিনি। দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিহতদের মধ্যে দুই শিশু আছে।
ঝালকাঠি সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত বলেন, আরও কেউ বাসের মধ্যে আছেন কি না তা দেখতে এখনো তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
বাসটিতে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন তা জানা যায়নি। ক্রেন দিয়ে গাড়িটি তোলার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এমজে/