আর্জেন্টিনা ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে ২০২২ বিশ্বকাপে ঘরে তুলেছে স্বপ্নের ট্রফি। আর তাতে পূর্ণতা পেয়েছে ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির ক্যারিয়ার। বিশ্বকাপের পর প্রীতি ম্যাচে আলো ছড়িয়ে র্যাঙ্কিয়েও শীর্ষে উঠে এসেছে দেশটি।
এদিকে অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপে সপ্তম শিরোপা জয়ের মিশন শুরু করেছে আর্জেন্টিনার যুবারা। আর তাতে প্রথম ম্যাচে উজবেকিস্তানের মুখোমুখি হয় দলটি।
শনিবার রাতে বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় ঘরের মাঠে এ টুর্নামেন্টের ২৩তম আসরে খেলতে নামে মেসি-ডি মারিয়াদের উত্তরসূরিরা। খেলা শুরুর পর কোনো দলই খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি। এদিকে দশ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন আর্জেন্টাইন ফুটবলার অগাস্টন গিয়ায়। গোলের দেখা পেতে চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে দুদলই। ১৪ মিনিটের মাথায় আলবিলেসেস্তাদের রক্ষণের ভুলে গোলের দেখা প্রায় পেয়েও গিয়েছিল উজবেকিস্তান। কিন্তু খলদরকনভের নেওয়া শট গোল বারের ওপর দিয়ে গেলে বেঁচে যায় আর্জেন্টাইন যুবারা।
এ যাত্রায় আশা বঞ্চিত হলেও গোলের দেখা পেতে খুব একটা দেরি হয়নি উজবেক যুবাদের। ম্যাচের ২৩ মিনিটে মাখমুদজন মাখমাদনভের নেওয়া বা পায়ের জোরালো শট আলবিসেলেস্তে গোলরক্ষকের হাতে লেগে জালের দেখা পেয়ে যায়। এদিকে এক গোলে পিছিয়ে পড়ে খেলার গতি বাড়ায় আর্জেন্টাইন যুবারা। ২৭তম মিনিটে অগাস্টিন গিয়ায়ের বাড়িয়ে দেওয়া বল ডিবক্সের ভেতরে থেকে হেড করেন আলেহো ভেলিজ, আর্জেন্টিনাও পেয়ে যায় তাদের প্রথম গোলের দেখা।
সমতায় ফেরার পর দুই দলই লিড নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। প্রথমার্ধের শেষ পর্যন্ত দুই দলই চেষ্টা চালিয়ে গেলেও গোলের দেখা পায় শুধু আর্জেন্টিনাই। ৪১তম মিনিটে ভেলেন্টিন কার্বোনির বা পায়ের শটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় তারা। ৪৫ মিনিট শেষে ম্যাচের স্কোরলাইন থাকে আর্জেন্টিনা ২-১ উজবেকিস্তান।
বিরতির পর আবারও মাঠে নামে দুই দল। গোল ব্যবধান বাড়াতে চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে। ৬১ মিনিটে আবারও সুযোগ এলেও ব্যর্থ হন অগাস্টিন গিয়ায়। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত আরও কয়েকটি সুযোগ পেলেও গোলের দেখা আর পায়নি তারা। এদিকে সমতায় ফেরার লক্ষ্যে উজবেক যুবারাও মরিয়া হয়ে লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পায়নি তারাও। ফলে ম্যাচ শেষ হয় ২-১ গোলেই। আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব–২০ দলও পেয়ে যায় জয়ের দেখা।
প্রথম ম্যাচে জয় পেলেও এ টুর্নামেন্টে খেলারই কথা ছিল না মেসি-ডি মারিয়া উত্তরসূরিদের। এ টুর্নামেন্টে খেলার জন্য কোয়ালিফাই পর্বই পার হতে পারেনি তারা। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া থেকে টুর্নামেন্টটি সরে যাওয়ায় স্বাগতিক হিসেবে সে সুযোগ পায় আলবেলিস্তেরা। এই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৬ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। উজবেকিস্তানের বিপক্ষে জয়ে সপ্তম শিরোপার দিকে এক ধাপ এগিয়ে যায় আর্জেন্টাইন যুবারা।
এমজে/