মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় কোরো এবং নিজেদের হাতে নিজেদের ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ কোরো না। তোমরা সৎকাজ কোরো, আল্লাহ সৎকার্মপরায়ণ লোকদের ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৯৫)
উল্লিখিত আয়াতে মহান আল্লাহ সাধারণভাবে মুমিনদের সৎকাজ বা ভালো কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং সর্বপ্রকার ভালো কাজ এই নির্দেশের অন্তর্ভুক্ত। ব্যক্তি নিজের জন্য বা অন্যের কল্যাণকর এমন কোনো কাজ এই নির্দেশের বাইরে নয়। আল্লাহর এই সাধারণ নির্দেশের ভেতর অন্তর্ভুক্ত হবে : সম্মান ও সুপারিশের মাধ্যমে উপকার করা, ভালো কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা, উপকারী জ্ঞান বিতরণ করা, মানুষের প্রয়োজন পূরণ করা, দুঃখ-দুর্দশা দূর করা, প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করা, অসুস্থ ব্যক্তির শুশ্রূষা করা, কাফন-দাফনের ব্যবস্থা ও তাতে অংশগ্রহণ করা, পথ হারিয়ে ফেলা ব্যক্তিকে পথপ্রদর্শন করা, শ্রমিক ও কাজের লোকের কাজে সহযোগিতা করা, যে ব্যক্তি কাজ ঠিক করতে পারছে না, তার কাজটি করে দেওয়া, ইত্যাদি।
এই নির্দেশের অন্তর্ভুক্ত হবে এমন সব কাজ যা করার নির্দেশ আল্লাহ দিয়েছেন। বিশেষত মুমিন নিজের প্রতিও দয়া ও অনুগ্রহ করবে। তা হলো, যথাযথভাবে আল্লাহর ইবাদত ও আনুগত্য করা। যেমনটি মহানবী (সা.) বলেছেন, তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত কোরো, যেন তুমি তাঁকে দেখছ। যদি তুমি তাঁকে না দেখো, তবে বিশ্বাস রাখো তিনি অবশ্যই তোমাকে দেখছেন। যে ব্যক্তি এভাবে নিজের প্রতি ও অন্যের প্রতি ইহসান করবে এবং নেক কাজ করবে, তার প্রতি আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ বর্ষিত হবে। পরকালে তাদের জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী জান্নাত। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা মঙ্গলকর কাজ করে তাদের জন্য আছে মঙ্গল এবং আরো অধিক। কালিমা ও হীনতা তাদের মুখমণ্ডলকে আচ্ছন্ন করবে না। তারাই জান্নাতের অধিবাসী, সেখানেই তারা স্থায়ী হবে।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত : ২৬)
আল্লাহ সবাইকে তাঁর অনুগত বান্দা হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন
তাফসিরে সাদি অবলম্বনে