ঈদের আগে রাজধানীর দুটি বড় মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে প্রায় একই সময়ে, ভোররাতের দিকে। অনেক মার্কেটে রাতেও আগুন লেগেছে। আসন্ন ঈদে আনন্দের বিপরীতে আগুনে নিঃস্ব হয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। ব্যবসার মূলধন হারিয়ে পরিবার-পরিজনসহ পথে বসেছেন তাঁরা।
গত ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজারে আগুন লাগে ভোর ৬টা ১০ মিনিটের দিকে। গত ১৩ এপ্রিল পুরান ঢাকার নবাবপুরে একটি গুদামে আগুন লাগে রাত ১০টা ৮ মিনিটে। গতকাল ১৫ এপ্রিল রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগে ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে। রাতে বা ভোররাতে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই অগ্নিকাণ্ড অসতর্কতার জন্য, নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে—এই প্রশ্নের জবাব পেতে চাইছে অনেকে।
গতকাল নিউ সুপার মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন ব্যবসায়ীও বলেছেন, তাঁদের সন্দেহ কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন মার্কেটে ধারাবাহিক আগুনের ঘটনা ষড়যন্ত্র বা নাশকতা কি না, তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে বিএনপি-জামায়াতের কোনো যোগসূত্র আছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখার জন্য বলেছেন তিনি। গতকাল সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটগুলোতে নজরদারি বাড়াতে হবে। অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের বিষয়টি জড়িত আছে কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তারা অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটিয়ে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। সবাইকে আরো বেশি সচেতন থাকতে হবে। সবার নিজস্ব উদ্যোগে পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, একটি সুনির্দিষ্ট সময়ে বারবার অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।