পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দলের লড়াইয়ের শুরুতে মিলল জমজমাট ম্যাচের ইঙ্গিত। লঁস ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার পর পাল্টে গেল চিত্র। প্রতিপক্ষে একজন কম থাকার সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগাল পিএসজি। অনায়াস জয়ে লিগ শিরোপা ধরে রাখার পথে বড় এক ধাপ এগিয়ে গেল প্যারিসের দলটি।
ঘরের মাঠে শনিবার রাতে লিগ ওয়ানের ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতেছে ক্রিস্তফ গালতিয়ের দল।
কিলিয়ান এমবাপে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান ভিতিনিয়া ও লিওনেল মেসি। সফরকারীদের একমাত্র গোলটি করেন শেমেসোয়াফ ফ্রাঙ্কোভস্কি।
এই ম্যাচে জালের দেখা পেয়ে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পাশে বসেছেন মেসি। দুজনেরই গোল সংখ্যা ৪৯৫টি করে।
ইউরোপীয় ফুটবলের পাঠ চুকিয়ে গত জানুয়ারিতে সৌদি আরবে পাড়ি জমানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে যাওয়া মেসির জন্য এখন স্রেফ সময়ের ব্যাপার।
এই জয়ে ৯ পয়েন্ট এগিয়ে গেল পিএসজি। ৩১ ম্যাচে ২৩ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা। সমান ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে লঁস।
ত্রয়োদশ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় পিএসজি। এমবাপের পাসে বক্সে মেসির শট ঠেকিয়ে দেন প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডার।
১৯তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় লঁস। বক্সের বাইরে আশরাফ হাকিমিকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন মিডফিল্ডার আব্দুল সামেদ।
৩১তম মিনিটে পিএসজিকে এগিয়ে নেন এমবাপে। ভিতিনিয়ার পাসে ফরাসি ফরোয়ার্ডের শটে বল পোস্টে লেগে জালে জড়ায়।
ছয় মিনিট পর চমৎকার গোলে ব্যবধান বাড়ান ভিতিনিয়া। মেসি ছোট করে কর্নারে বল দেন নুনো মেন্দেসকে। জাতীয় দলের সতীর্থের পাসে বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে ঠিকানা খুঁজে নেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার।
একটু পরই স্কোরলাইন ৩-০ করে ফেলেন মেসি। বক্সের বাইরে প্রতিপক্ষের একজনকে কাটিয়ে এমবাপেকে পাস দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি। সতীর্থের ফিরতি পাস পেয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
৬০তম মিনিটে ফ্রাঙ্কোভস্কির স্পট-কিকে ব্যবধান কমায় সফরকারীরা। পিএসজির বক্সে মিডফিল্ডার ফাবিয়ান রুইসের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।
বাকি সময়ে গোলের সুযোগ আসে দুই দলের সামনেই, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি কেউই।