কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ মুজিবুল হক মুজিবের বিরুদ্ধে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জায়গা দখল ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বুধবার বিকেলে স্থানীয় এক রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেছে ওই কাউন্সিলর বিরুদ্ধে। বর্তমানে কাউন্সিলর নানা ধরণের হুমকি ও ভয়ভীতিতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য বলেন, সাবেক শিবির ক্যাডার, নব্য হাইব্রিড আওয়ামীলীগ নেতা নামধারী এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, পুকুর ভরাটকারী, এলাকায় কিশোর গ্যাং সৃষ্টির মাধ্যমে সন্ত্রাসী লালন করে নানা ধরণের অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুজিবুল হক মুজিব। শুধু তাই নয়, ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তাদের পৈতৃক সম্পত্তি দখল করে দোকানগৃহ ও স্থাপনা তৈরী করছে। এনিয়ে প্রতিবাদ করায় জানে মেরে ফেলার (প্রাণনাশের) হুমকি দিচ্ছেন। তার সন্ত্রাস বাহিনী নিয়ে কোন সময় কি ঘটনা করে বসে। তাই পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেছেন বলেও জানান।
মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলামের জৈষ্ট্য ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রনি চৌধুরী বলেন, ২০১৭ সালেও কাউন্সিলর মুজিবুল হক একই জমি গুলো জবর-দখলের চেষ্টা করেন। ওই সময় তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে গেলে তৎকালীন চকরিয়া থানার ওসির মধ্যস্থতায় ওই জমির দিকে আর কখনো ফিরে থাকাবেনা মর্মে একটি মুছলেকা দেন কাউন্সিলর মুজিব। বর্তমানে তা ভঙ্গ করে আবারও জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি এই জবরদখলকারী মুজিবুল হক গং এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও দায়ের করেছি। তার বিরুদ্ধে আতালতে মামলা দায়ের করার কথা শুনে তিনি আমাকে ও পরিবারের সদস্যদের নানা ধরণের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলামের ছেলে আবু জহির মোহাম্মদ খায়রুল বাশার রনি আরো জানান, কাউন্সিলর মুজিবুল হকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে জায়গা দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে বিজ্ঞ সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চকরিয়াতে মামলা দায়ের করেছি।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ইলিয়াছ আরিফ জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলামের ছেলে খাইরুল বাশার বাদী হয়ে পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুজিবুল হকসহ ৮জনের নামে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি দরখাস্তের আবেদন করিলে, বিজ্ঞ আদালত মামলটি আমলে নিয়ে সিআইডি কক্সবাজার কে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন বলে তিনি জানান।
এমজে/