ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা এবার ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে নতুন যে ৫ হাজার কর্মী নিয়োগের কথা চিন্তা করা হয়েছিল সেই প্রক্রিয়াও বন্ধ হচ্ছে। এর আগে গত নভেম্বরে ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল মেটা।
মঙ্গলবার মার্ক জাকারবার্গ এক বার্তায় বলেছেন, আমাদের দলের সংখ্যা ১০ হাজার কমাতে চলেছি। আর্থিক মন্দার কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ছাঁটাই পর্ব এখানেই শেষ নয়।
মঙ্গলবার মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, ‘সিদ্ধান্তটা অত্যন্ত কঠিন। তবে এছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। যারা এ কোম্পানির জন্য নিজের সেরাটা দিয়ে কাজ করেছেন, এর সাফল্যের অংশীদার হয়েছেন, সেসব প্রতিভাবান সহকর্মীদের আমরা হারাচ্ছি।’ এর আগে মেটা জানিয়েছিল, কর্মীর সংখ্যা কমিয়ে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আরও উন্নত পরিষেবা দেওয়া হবে। কোভিডের কারণে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে সে সময় অনেক কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছিল মেটা। তবে শুধু মেটা নয়, অ্যামাজন, টুইটার এবং গুগল-এর মতো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানও কর্মী ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমেরিকার প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর ওপর গভীর সংকটের কারণেই মেটাতে ছাঁটাই থামছে না। তার ওপরে চিন্তা বাড়িয়েছে মেটার খারাপ ফলাফল। রিপোর্ট বলছে, মেটার বিজ্ঞাপন বাবদ আয়ও কমেছে। এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বরে মেটা ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাই ঘোষণা করেছিল। ২০০৪ সালে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠার ১৮ বছরের ইতিহাসে যা প্রথম। এর আগে এত বড় ছাঁটাই হয়নি কোম্পানিতে। আকাশছোঁয়া মুদ্রাস্ফীতি ও ব্যয়বহুল ঋণের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যেই উদ্বেগ বেড়েছে। তার ওপরে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ও সিগনেচার ব্যাংক সংকটের পর আর্থিক খাতে সংকট তৈরি হয়েছে। এর ফলে সবথেকে বেশি বিপদে পড়েছে সেখানকার টেক কোম্পানিগুলো।
এমজে/