কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) রিপোর্ট অনুসারে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় আবারও এক নম্বরে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা।
শনিবার সকাল ৯টা ১ মিনিটে বায়ুমানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ২৫৫ স্কোর। বায়ুর মান বিচারে এ মাত্রাকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের অস্বাস্থ্যকর শহরের তালিকায় ২০৮ নিয়ে ঢাকার পরই রয়েছে ভারতের মুম্বাই। ১৯১ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে চীনের বেইজিং।
একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে ওই এলাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
আর একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে সেটা জরুরি অবস্থা হিসাবে বিবেচনা করা। এ অবস্থায় বাড়ির বাইরের চলাচলে সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সেটা পরিমাপ করে থাকে। বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতে, বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৮০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে।
অন্যদিকে ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাংক বলছে, দিনে ২টি সিগারেট খেলে মানবদেহের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিদিন সেই পরিমাণ ক্ষতির শিকার হন রাজধানীবাসী। এ ক্ষেত্রে নবজাতক থেকে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ষাটোর্ধ্বরা রয়েছেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু ঘটে।
এমজে/