বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে মুক্তিতে দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছিল। সেখানে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন কি না—এমন কোনো শর্ত ছিল না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তবে যেহেতু খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ দ্বারা তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার জমশেরপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খালেদা জিয়াকে তাঁর দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে দুটি শর্তে মুক্তি দিয়েছিলেন। শর্ত দুটি হলো, তিনি ঢাকায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না। তবে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না—এমন কোনো শর্ত ছিল না।’
খালেদা দুই মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জানিয়ে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যেহেতু তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ দ্বারা তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। আবেদনে তিনি জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তাঁর সুচিকিৎসা প্রয়োজন। যেকোনো সময় তাঁর জীবন বিপন্ন হতে পারে। তাই তাঁর উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুটি শর্তে তাঁর দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে মানবিক কারণে মুক্তি দিয়েছেন।’
এর আগে জমশেরপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন মন্ত্রী। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. নাছিরুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইনসচিব মো. গোলাম সারোয়ার, এই বিদ্যালয়ের ছাত্র সাবেক এমপি আলহাজ মো. শাহ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জয়নাল আবেদীন, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র এম জি হাক্কানী, সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূঁইয়া বকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আজহারুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য এম এ আজিজ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলী আমজাদ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম।
এমজে/