কক্সবাজারের উখিয়ার আশ্রয় ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের পৃথক গুলিতে এক রোহিঙ্গা নারী নিহত ও একটি শেডের হেড মাঝি (দলনেতা) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ও দুপুরে ক্যাম্প-৮ ও ক্যাম্প-১২ তে পৃথক এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।
নিহত নুর কায়েস (২৫) উখিয়ার ক্যাম্প-৮ ব্লক-বি/৫৭ এর নজুমদ্দিনের স্ত্রী ও আহমদ হোসেনের মেয়ে।
গুলিবিদ্ধ হেড মাঝি আব্দুর রহিম (৩৮) ক্যাম্প-১২ এর করিম উল্লাহর ছেলে। তিনি এইচ-৪ ব্লকের হেড মাঝির দায়িত্বপালন করছিলেন।
নিহত নুর কায়েসের মা হাজেরা খাতুন জানান, সকালে ক্যাম্প-৮ এলাকায় তার মেয়েকে আরাফাত হোসেন নামের এক রোহিঙ্গা মাথার বামপাশ ঠেকিয়ে এক রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যান। গুলিবিদ্ধ নুর কায়েসকে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। তাদের পরিবারের সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা নেই বলে দাবি হাজেরা খাতুনের।
ক্যাম্প সূত্র জানায়, গুলি করা আরাফাত হোসেন টেকনাফের শালবাগান ক্যাম্প এলাকার বাসিন্দা হলেও বর্তমানে ক্যাম্প-৮/ইস্ট, ব্লক-৫৭ এ বোন নুর হাবা ও ভগ্নিপতি মাহমুদুল হকের বাসায় থাকেন। তার গুলি করার কারণ জানা যায়নি। তবে, আরাফাতকে রাখাইনের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্য বলে চেনেন অনেকে।
অন্যদিকে, দুপুর ১২টার দিকে ময়নারঘোনা ক্যাম্প এলাকায় মুখোশ পরা ৪-৫ জন ক্যাম্প-১২ এর এইচ-৪ ব্লকের হেড মাঝি আব্দুর রহিমকে মাথায় গুলি করে পালিয়ে যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনার পর পুরো ক্যাম্প এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ জানান, ক্যাম্প এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় এক রোহিঙ্গা নারী নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ আরেকজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ক্যাম্পের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ টহল জোরদার করা হয়েছে।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, নিহত নুর কায়েসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এরআগে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ক্যাম্প-৫ এর বি/৭ ব্লকে টহল পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। এতে খায়রুল আলম নামের পুলিশের এক কনস্টেবল গুলিবিদ্ধ হন।
এমজে/