‘বিএনপিকে নিরাপদ স্থানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে’

রাজধানীর নয়াপল্টনে ১০ ডিসেম্বরের বিএনপির গণসমাবেশ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাধ্য হয়ে সরকার কোথাও অনুমতি দেবে না। সরকার যেখানে ভালো ও নিরাপদ মনে করেছে সেখানেই তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া বড় সমাবেশ সম্ভব নয়।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের আয়োজিত ‘দ্বিতীয় শেখ কামাল সার্ক স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের অবস্থান দ্রুতই জানা যাবে।

মন্ত্রী বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভেন্যু বিএনপিই চেয়েছে। ডিএমপি কমিশনার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানই উপযুক্ত মনে করেছেন। এজন্য সেখানেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমাদের আওয়ামী লীগের কিছু দলীয় প্রোগ্রাম রয়েছে, সেগুলো শেষ হয়ে যাবে। এরপর বিএনপি সেখানে সমাবেশ করতে পারবে।

বিএনপি বলছে, সরকার পল্টনে সমাবেশের অনুমতি দিতে বাধ্য হবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তারা পল্টনে সমাবেশ করবে এমন কোনো অফিসিয়াল অনুমতি এখনো আসেনি। বিএনপি আমাদের কাছে এসেছিল। তারা তিনটি জায়গার কথা বলেছিল। তার মধ্যে একটি ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া বিএনপি অন্য কোথাও সমাবেশ করতে পারবে কিনা- এ প্রশ্নের উত্তরে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আপনাদের কাছেই আমার জিজ্ঞাসা, এতবড় গ্যাদারিং তারা কোথায় করবে? বিএনপি চেয়েছিল সংসদ ভবনের সামনে, সেখানে কাউকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না।

আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনার মূলহোতা জঙ্গি জিয়াউল হক এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাকে ধরা হচ্ছে না এটা ঠিক নয়। আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কৌশলে তিনি আড়ালে-আবডালে অবস্থান করছেন।

আনসার আল ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ জিয়াউল হকের নাম ৯ বছর ধরেই শোনা যাচ্ছে। কিন্তু তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। তার অবস্থান কি শনাক্ত করা গেছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিনিয়তই জঙ্গি মেজর জিয়া তার অবস্থান পরিবর্তন করছেন। আমরা তার অবস্থান শনাক্ত করছি আবার তিনি পরিবর্তন করে ফেলছেন। তবে আশা করছি, খুব শিগগিরই থাকে ধরা সম্ভব হবে।

জিয়াকে ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থ কিনা- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেসব আধুনিক যন্ত্রপাতি বা কৌশল ব্যবহার করে জঙ্গিরাও সেই জিনিসগুলো ধারণ করে। এসব ক্ষেত্রে একটু সময় বেশি লাগে। তবে আমরা তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ২০ নভেম্বর পুলিশের মুখে স্প্রে ছিটিয়ে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা। ঘটনার পর পর রাজধানীতে রেড অ্যালার্ট জারি হয়। ঢাকার অলিগলিতে চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সারা দেশে সতর্কতা জারি করা হয়। ঘটনার পর অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশিদ জানান, জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড আনসার আল ইসলামের মূলহোতা মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ জিয়াউল হক।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img