রপ্তানিমুখী শিল্পগোষ্ঠী নোমান গ্রুপকে নিয়ে দৈনিক ইনকিলাবে মিথ্যা ও ভুল প্রতিবেদন প্রকাশ করায় সম্পাদক এএম বাহাউদ্দীন ও প্রতিবেদক সাইদ আহমেদের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে ২ হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা হয়েছে। নোমান গ্রুপের পক্ষে বুধবার ঢাকার সিএমএম আদালতের ২৮নং কোর্টে মামলাটি করেন নোমান গ্রুপের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুরাদুল ইসলাম।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন মামলাটি আমলে নিয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। ২১ ডিসেম্বর সমনের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাবের শেষ পৃষ্ঠায় ৩১ অক্টোবর প্রকাশিত ‘ঋণের নামে হাতিয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদটি প্রকাশ করতে কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই-তদন্ত না করে এবং প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট অমান্য করে এবং সাংবাদিকতার পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে সম্পূর্ণ অসত্য, মনগড়া, কাল্পনিক, অবাস্তব ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বলে দাবি করেছে নোমান গ্রুপ। এ সংবাদের কারণে নোমান গ্রুপ দেশে ও বহির্বিশ্বে হেয়প্রতিপন্ন এবং দুই হাজার কোটি টাকার আর্থিক ও সুনাম ক্ষতি হয়েছে দাবি করে আসামিদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এনায়েত বাতেন রাসেল।
ব্যারিস্টার এনায়েত আরও জানান, নোমান গ্রুপ টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট সেক্টরে দেশের শীর্ষস্থানীয় রপ্তানিকারক শিল্প গ্রুপ। প্রতিবছর রপ্তানি খাত থেকে ১.২ বিলিয়ন ডলার আয় করে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। যার কারণে বারবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ও রাষ্ট্রপতি শিল্পোন্নয়ন পুরস্কারসহ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন সম্মানজনক স্বীকৃতি লাভ করে আসছে নোমান গ্র“প। দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে দেশে-বিদেশে নোমান গ্রুপের মানহানি হয়েছে এবং দেশের বতর্মান বিরাজমান পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রয়াদেশ কমে আসছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।