চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কার্গো খালাস করার জন্য সিএন্ডএফ’কে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেবার নির্দেশনা দেয়া হলেও নিরসন হয় নি অচলাবস্থার। গেল দুই সপ্তাহ ধরে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে এয়ারকার্গোর পণ্য খালাস বন্ধ রাখার পর গত বৃহস্পতিবার চালু করার বিষয়ে লিখিত নির্দেশনা নির্দেশনা দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মাসুদুর রহমান।
জানা যায় রবিবার, নিজেদের পন্য ছাড় করতে কাগজপত্র জমা দিয়ে অপেক্ষা করলেও কার্গো খালাস বন্ধই রয়েছে। সোমবারও সিএন্ডএফ এজেন্টরা পণ্য ছাড় করতে কাগজপত্র জমা দেয় । সোমবার দফা দফায় সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠকে বসেন বিমানবন্দরের দায়িত্ব থাকা ডেপুটি কমিশনার মাসুদ ও সহকারী কমিশনার জয়নাল। দিনভর ইমিগ্রেশন যাচাই, এসেসমেন্ট প্রক্রিয়া শেষ করা হলেও কোন কনসাইনমেন্ট ছাড় করা হয়নি। রাতে অপেক্ষারতদের জানানো হয় মঙ্গলবার ‘ কার্গো খালাস ‘ শুরু করা হবে। কিন্তু মঙ্গলবার আউট পাস নিয়ে ওয়্যারহাউজে গেলেও পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু করেনি কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জনসংযোগ বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে এয়ারকার্গোর পণ্য খালাস বন্ধ রাখার কোন নির্দেশনা দেয়া হয় নি। কিন্তু কার্যত গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের কার্গো ওয়্যারহাউজ থেকে কোন কার্গো পণ্য খালাস করা হয় নি।
তথ্যমতে, ব্যাগেজ রুলের আওতায় অতিরিক্ত পণ্য কার্গোর মাধ্যমে দেশে এনে সিএন্ডএফ এর মাধ্যমে ছাড় করিয়ে থাকেন প্রবাসীরা। কিন্তু দেশে ফেরার পর সেই পণ্য ছাড়িয়ে আনতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে ফেরা প্রবাসীরা। নিয়ম অনুযায়ী কার্গো ফ্লাইটে আসা পণ্য ওয়্যারহাউজে পৌছার একুশ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস করা না হলে নিলাম করে দেয়া হয়। সেই অনুযায়ী সর্বশেষ কার্গো ফ্লাইটে আসা পণ্যগুলো আটারোদিন গত হয়েছে।
নাজিউর রহমান বলেন, ‘ কাগজপত্র যাচাই বাছাই করতে একটু সময় হয়তো লাগছে৷ তবে পণ্যের এসেসমেন্ট ও ইমিগ্রেশন পেপার যাচাই, আউটপাস হবার পর পণ্য খালাস না করার কথা নয়। ‘
সূত্রমতে, বিমানবন্দরে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের পক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করা সহকারী কমিশনার জয়নাল আবেদীন, ডেপুটি কমিশনার মাসুদুর রহমানের কারসাজির কারণে পন্য খালাস বন্ধ রাখা হয়েছে। বিমানবন্দরে কার্গো পণ্য পুনরায় খালাস চালু করতে সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের কাছে জনৈক আরিফের মাধ্যমে চল্লিশ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করা হয়েছে। ঘুষের টাকা না পৌঁছার কারণে নানা অজুহাতে পণ্য খালাস বন্ধ রেখে নিলামের ভয় দেখানো হচ্ছে – এমন অভিযোগ সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের।
এদিকে, কার্গো খালাস বন্ধ রাখার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী ও প্রবাসীরা বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছেন।