কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে আগামী শিক্ষাবর্ষ (২০২২-২০২৩) থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর মো. জাকির হোসেন। প্রথম বছর দুটি বিভাগে সীমিত পরিসরে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে জানান তিনি।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) মুঠোফোনে আলাপকালে এসব কথা জানান ভিসি। তিনি বলেন, ‘আমরা আপাতত একটি অস্থায়ী ক্যাম্পাস নির্ধারণের চেষ্টা করছি। আশা করছি, শিগগিরই একটি অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করতে পারবো। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর যেসব শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে তাদেরকে নিয়ে যাতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে পারি সে লক্ষ্যে কাজ করছি। সরকার এবং ইউজিসি কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিলে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই ক্লাস শুরু হবে।’
‘প্রথম বছর আমরা ফিশারিজ এবং এগ্রিকালচার এই দুটি বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করবো। পরের বছর আসন সংখ্যা ও বিষয় বাড়ানো হবে’ যোগ করেন ভিসি।
অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে প্রাথমিকভাবে কয়েকটি স্থান দেখা হয়েছে জানিয়ে ভিসি বলেন, ‘আমরা কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিল ক্যাম্পাসটি পছন্দের তালিকায় রেখেছি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তারা রাজি হলে তখন উভয় পক্ষের মধ্যে চুক্তি হতে পারে। আমরা জমি পেলে নিজস্ব ক্যাম্পাসে চলে যাবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য স্থান নির্বাচনের বিষয়ে ভিসি বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি কমিটি হয়েছে। চূড়ান্তভাবে তারা স্থান নির্বাচন করবেন। এরপর জেলা প্রশাসক জমি দেবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে ভিসি বলেন, ‘সবকিছু নির্ভর করছে সময়মতো সরকারের ফান্ড রিলিজের ওপর। আমরা এখন পর্যন্ত ভিসির গাড়ি কিনতে পারিনি। সীমাবদ্ধতা আছে, বৈশ্বিক সমস্যাও রয়েছে। তারপরও আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে এই সমস্যা তেমন বাধা হবে না।’
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। কমিটির সিদ্ধান্ত পেলে তখন আমরা জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নেবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘চলতি শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জেনেছি। তারা সে লক্ষ্যে কাজ করছেন। আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
এর আগে ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সংসদে ‘কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০২১’ পাস হয়। বিলে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষাদান এবং গবেষণা ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। শিক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রমের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় টেকসই কৃষি প্রযুক্তি ও উচ্চ ফলনশীল কৃষিজ দ্রব্যের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করবে।
ইউআর/