রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষায় ‘সেনাসমাবেশের’ ঘোষণা দিয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম এ ধরনের ‘সেনাসমাবেশ’ করতে যাচ্ছে রাশিয়া। পুতিনের এই ঘোষণাকে ‘দুর্বলতার’ প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
পুতিনের ওই ঘোষণার পর ইউক্রেনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রিজেট ব্রিঙ্ক বুধবার এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন, গণভোটের আয়োজন ও সেনা সমাবেশের ঘোষণা দুর্বলতার ও রাশিয়ার ব্যর্থতার লক্ষণ।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কখনই ইউক্রেনের ভূখণ্ডকে কথিতভাবে অধিভুক্ত করার রাশিয়ার দাবিকে স্বীকৃতি দেবে না এবং যতদিন প্রয়োজন আমরা ইউক্রেনের পাশে থাকব।
প্রসঙ্গত, বুধবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়ার ২০ লাখ জনবল সম্পন্ন সামরিক রিজার্ভের আংশিক সমাবেশের ঘোষণা দেন।
রাশিয়া এবং নিজের অঞ্চলগুলোকে রক্ষা করার জন্য এই ঘোষণা দেন তিনি।
এ নির্দেশনার ফলে যারা কোনো একসময় রুশ সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন বা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ভবিষ্যতে যে কোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর জন্য সেই সব সংরক্ষিত সৈন্যদের এখন যুদ্ধ করার জন্য ডেকে পাঠানো হবে।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার মাতৃভূমি, সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা আর জনগণের নিরাপত্তা রক্ষা করার তিনি সৈন্য সমাবেশের নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার থেকেই সেনা সমাবেশ শুরু হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, যারা পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আমাদের ব্ল্যাকমেইল করতে চায়, তাদের জানা উচিত যে, পাল্টা বাতাস তাদের দিকেও যেতে পারে।
তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমা দেশগুলো প্রমাণ করেছে যে, তারা চায় না রাশিয়া আর ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি বজায় থাকুক।
এমন সময়ে পুতিন এ ভাষণটি দিলেন, যখন মস্কো পূর্ব এবং দক্ষিণে ইউক্রেনের ভূখণ্ডের ওপর তার দখলকে সুসংহত করতে শুরু করেছে। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ায় যোগদানের জন্য ইউক্রেনের মুক্ত এলাকাগুলোতে গণভোট আয়োজনের পরিকল্পনা করছে।
ইউআর/