এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার লক্ষ্যে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। শক্তিশালী বাহরাইনকে রুখে দেয় বাংলাদেশের যুবারা। গোলশূন্য ড্র করে। পরে ভুটানকে ২-১ ব্যবধানে হারায়।
নেপালকে হারাতে পারলে লক্ষ্য পূরণ হবে আশায় ছিলেন পাপ্পু ও তার দল। সেই লক্ষ্যে নেপালকে ৩-০ গোলে হারায় তারা।
কিন্তু এর পরও লক্ষ্য পূরণ হলো না। মূল পর্বে উঠতে পারল না বাংলাদেশ। নেপালকে হারিয়েও গোলের ব্যবধানে কপাল পুড়েছে বাংলাদেশের। বি গ্রুপ থেকে মূলপর্বের একমাত্র টিকিট পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার।
চার ম্যাচে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে সরাসরি মূল পর্বে উঠল কাতার। সমান ৭ পয়েন্ট বাংলাদেশ ও বাহরাইনের। তবে গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে রানার্সআপ হয়েছে বাহারাইন।
বাংলাদেশ ও বাহারাইন দুই দলই দুটি করে ম্যাচ জিতেছে, নিজেদের মুখোমুখি লড়াইয়ে ড্র করেছে। দুদলই হেরেছে কাতারের কাছে।
এই চার ম্যাচে ৫ গোল দিয়ে চারটি হজম করেছে বাংলাদেশ। ফলে গোল ব্যবধান রয়েছে মাত্র +১।
অন্যদিকে ৮ গোল দিয়ে ৩ গোল হজম করায় +৫ গোল ব্যবধান নিয়ে গ্রুপে দ্বিতীয় হয়েছে বাহরাইন। ফলে তৃতীয় হওয়ায় সেরা অন্য ৯ গ্রুপের রানার্সআপ দলগুলোর সঙ্গে কোনো বিবেচনায়ই আসেনি বাংলাদেশ।
অবশ্য রানার্সআপ হয়েও বাহরাইন মূল পর্বের টিকিট পায়নি। কেননা দশ গ্রুপের মধ্যে একেক গ্রুপে দল সংখ্যা একেক রকম। তাই রানার্সআপের মধ্য থেকে সেরা পাঁচ দল বাছাইয়ে পিছিয়ে পড়েছে বাহরাইন। যেসব গ্রুপে পাঁচ দল রয়েছে সেসব গ্রুপের পঞ্চম দলের বিপক্ষে ম্যাচের ফল বিবেচনায় আনা হয়নি।
বি গ্রুপের পঞ্চম দল নেপালের বিপক্ষে ৬-০ গোলের বড় ব্যবধানে জিতেছিল বাহরাইন। এই ম্যাচের ফল বিবেচনার বাইরে চলে যাওয়ায় রানার্সআপ দলগুলোর মধ্যে সেরা পাঁচে থাকা হয়নি বাহরাইনের। বরং এ তালিকায় তারা রয়েছে সবার নিচে।
বাছাইপর্বে এখন পর্যন্ত নয়টি গ্রুপের খেলা শেষ হয়েছে। এই নয় গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মূল আসরের টিকিট পেয়েছে সৌদি আরব, কাতার, জাপান, জর্ডান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ওমান, তাজিকিস্তান ও ইরান।
স্বাগতিক হিসেবে উজবেকিস্তান আগে থেকেই রয়েছে মূল পর্বে।
ইউআর/