দুটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে চলাচল করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী বলেছে, গত মাসে চীন তাইওয়ান দ্বীপের চারপাশে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া দেওয়ার পর প্রথম এই যুদ্ধজাহাজ পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ান ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র কি আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণ করেছে, এমন প্রশ্ন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
রোববার তাইওয়ান প্রণালীতে এই দুই যুদ্ধজাহাজ দেখা যায়। তাইওয়ান নিয়ে চীনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র। খবর আলজাজিরার।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের অভিযান ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।
চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইপে সফর করার পর তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তেজনা কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
পেলোসির এই সফরে ক্ষিপ্ত হয় চীন। কারণ বেইজিং তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ মনে করে। এই ঘটনার পর স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির চারদিকে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া চালায় চীন।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে মিত্র মনে করে। পেলোসি সফরে এসে বলেন, বন্ধুত্বের কারণে তাইওয়ান সফরে এসেছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিন মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, মার্কিন নৌবাহিনীর ক্রুজার চ্যান্সেলরসভিল এবং অ্যান্টিটাম এই অভিযান চালাচ্ছে।
এ ধরনের অভিযান সম্পন্ন করতে সাধারণত ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লাগে। এবং চীনের সেনাবাহিনী খুব কাছ থেকে পুরো ঘটনাটি মনিটর করেছে।
মার্কিন যুদ্ধজাহাজ এবং বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাজ্য ও কানাডার মতো মিত্র দেশগুলো সাম্প্রতিক বছরে নিয়মিত এই প্রণালী দিয়ে যাতায়াত করায় বেইজিং ক্ষুব্ধ হয়েছে।
ইউআর/