কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরের নাজিরারটেক চ্যানেলে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরও পাঁচ জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিখোঁজ আট জেলের মধ্যে সাত জনের লাশ উদ্ধার হলো। এখনও নিখোঁজ এক জেলে।
রবিবার (২১ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টার দিকে কক্সবাজার শহর সংলগ্ন বাঁকখালী নদীর মোহনার বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় তিন এবং বিকাল ৫টার দিকে দুই জনের লাশ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।
পুলিশ ও কোস্টগার্ড জানায়, সকালে কক্সবাজার শহর সংলগ্ন বাঁকখালী নদীর মোহনার বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় তিন জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের পূর্ব হামজার ডেইল গ্রামের হোসেন আহমদ, মোহাম্মদ আবছার ও একই ইউনিয়নের মামুনপাড়ার আজিজুল হক। বিকালে পূর্ব হামজার ডেইল আদর্শ গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও নুরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাত জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বাড়ি খুরুশকুল ইউনিয়নে। এখনও এক জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় জেলেরা জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার সদর উপজেলার খুরুশকুলের বাসিন্দা জাকির হোসাইনের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যান ১৯ জেলে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার বিকালে নাজিরারটেক চ্যানেলের বাঁকখালী নদীর মোহনায় ট্রলারটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় তাৎক্ষণিকভাবে আট জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।
ওই দিন রাতে আরও তিন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে অন্য একটি ট্রলারের জেলেরা। বাকি আট জেলে নিখোঁজ ছিলেন। তাদের মধ্যে শনিবার বিকালে ও রাতে তৈয়ব ও সাইফুলের লাশ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। রবিবার সকালে আরও পাঁচ জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন একজন।
ইউআর/