কিউবায় শনিবার রাতে প্রথমবারের মতো একজন ব্যক্তির শরীরে মাংকিপক্স শনাক্ত হয়েছে। দেশটির জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এই সপ্তাহে দেশটিতে আসা একজন ইতালীয় পর্যটকের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
আক্রান্ত ব্যক্তি কিউবায় একটি ভাড়া বাসায় উঠেছিলেন। অসুস্থ হওয়ার আগে তিনি দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ভ্রমণ করেন।
কিউবার জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তি বৃহস্পতিবার তার ত্বকের ক্ষতসহ উপসর্গগুলোর বিষয়ে চিকিত্সা সংক্রান্ত পরামর্শ চেয়েছিলেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, গত কয়েক মাসে আফ্রিকার বাইরে ৮০টিরও বেশি দেশে ৪০ হাজার মানুষের মাংকিপক্স শনাক্ত হয়েছে।
নাম শুনে বানরের কথা মনে হলেও মাংকিপক্স ভাইরাসটির সঙ্গে সম্পর্ক মূলত ইঁদুরের। ভাইরাসটির প্রাকৃতিক আবাসভূমি পশ্চিম আফ্রিকা এবং রেইনফরেস্টে বাস করে এমন কেউ হয়তো আক্রান্ত ইঁদুরের সংক্রমণে এলে অসুখটি ছড়ায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার দুর্গম অঞ্চলে হাজারো মানুষকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে। তবে আফ্রিকার বাইরে ইউরোপ, আমেরিকায় কিছু দিন আগে পর্যন্তও এর প্রাদুর্ভাবের কথা শোনা যায়নি। এখন যাদের মাংকিপক্স হচ্ছে তারা কোথা থেকে সংক্রমিত হচ্ছে – তাও স্পষ্ট নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই সংক্রমণ অস্বাভাবিক। কারণ এগুলো এমন দেশে ঘটছে যেগুলো এ ভাইরাসটির স্বাভাবিক আবাসস্থল নয়।
উল্লেখ্য, মাংকিপক্স এমন একটি ভাইরাসবাহিত রোগ যা সাধারণত মৃদু অসুস্থতা সৃষ্টি করে। অধিকাংশ আক্রান্ত ব্যক্তিই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। এটি খুব সহজে একজন মানুষ থেকে আরেকজন মানুষের ছড়াতে পারে না। মনে করা হয় বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মধ্যে এটি ছড়ানোর আশঙ্কা অপেক্ষাকৃত কম। এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনও টিকা নেই। তবে গুটিবসন্তের টিকা নিলে সেটি মাংকিপক্সের বিরুদ্ধেও ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা দিয়ে থাকে। কারণ এই দুই ভাইরাসের অনেক মিল রয়েছে।
ইউআর/