সৌদি আরবে মৎসজীবী পেশায় নাম লেখাতে যাচ্ছেন সৌদি নারীরা। প্রথা ভেঙে প্রথা প্রথমবারের মতো পুরুষ শাসিত এই পেশা বেছে নিচ্ছেন দেশটির নারীরা। গালফ নিউজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পের অধীনে প্রথম দফায় ৬০ জন নারীকে এই পেশায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
রক্ষণশীল দেশটিতে এর আগে মৎসজীবী হিসেবে নারীদের প্রবেশাধিকার সীমিত ছিল। কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে শুরু হওয়া সংস্কারের অংশ হিসেবে দেশটির নারীরা বর্তমানে এমন নতুন চাকরি গ্রহণ করছে, যা আগে পুরুষদের পেশা হিসেবে বিবেচিত হতো।
টেকসই উন্নয়ন অর্জন এবং সৌদি অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করার লক্ষ্যে ‘ভিশন ২০৩০’ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশটির জিডিপিতে মৎস্য ও জলজ খাতের অবদান বাড়ানোর জন্য এই কর্মসূচি চালু করা হয়।
সৌদি আরবের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টায় নারীদের অংশগ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তালমেলাতে লক্ষ্য স্থির করেছেন তিনি। হাতে নিয়েছেন ‘ভিশন ২০৩০’ প্রকল্প। এর আওতায় নারী স্বাধীনতা, উন্নয়ন আর প্রশাসনে নারীর অংশগ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
ধর্মীয় রক্ষণশীলতার গণ্ডি পেরিয়ে সৌদি নারীরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বাধীন। নারীরা এখন শহরগুলোতে গাড়ি চালাতে পারেন। গাড়ির গ্যারেজেও কাজ করছেন। অবিবাহিত নারীরা পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই হোটেলের থাকার অনুমতি পেয়েছেন আরও দুবছর আগে। কনসার্ট কিংবা ক্রীড়া ইভেন্টেও নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ নয়। পুরুষ আত্মীয়ের অনুমতি ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণে যেতে পারেন সৌদি নারীরা।
ইউআর/