চীনের প্রচণ্ড আপত্তি ও বাধা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানে যাচ্ছেন। তাইওয়ান এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাতে এমন খবর জানিয়েছে গণমাধ্যম সিএনএন।
চীনের পক্ষ থেকে কড়া বার্তা দেওয়ার পরও পেলোসি তাইওয়ানে যাওয়ার মনস্থির করেছেন। বিষয়টি নিয়ে শঙ্কাতে আছে খোদ মার্কিন কর্মকর্তারাই।
পেলোসি যদি তাইওয়ানে যান তাহলে এর মাধ্যমে ২৫ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এশিয়ার দ্বীপ দেশটিতে যাবেন।
তাইওয়ানের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ন্যান্সি পেলোসি এক দিন এবং এক রাত থাকবেন। তবে তিনি ঠিক কখন আসবেন সেটি নিশ্চিত নয়।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা চীনের কার্যক্রমের গতিবিধি নজরে রাখছেন এবং তাইওয়ানে ন্যান্সি পেলোসির অবস্থান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছেন।
এর আগে সোমবার ন্যান্সি পেলোসির সফর নিয়ে নতুন করে সতকর্তা দেয় চীন।
বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ন্যান্সি পেলোসি যদি তাইওয়ান সফর করে তাহলে ‘চীনের‘সেনাবাহিনী হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না’।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এই সর্বশেষ এই হুমকি দেওয়া হয় বলে সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
ন্যান্সি পেলোসির সম্ভব্য তাইওয়ান সফর ‘মারাত্মক রাজনৈতিক প্রভাবের দিকে নিয়ে যাবে’বলে ব্রিফিংয়ে হুঁশিয়ার করেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান।
এদিকে, সোমবার এশিয়া সফরে নিজের প্রথম গন্তব্য সিঙ্গাপুরে এসে পৌঁছান ন্যান্সি পেলোসি। সিঙ্গাপুরে দুইদিন থাকার পর পেলোসি যথাক্রমে যাবেন মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানে। তবে তাইওয়ান সফরের বিষয়টি উল্লেখ করেনি ন্যান্সি পেলোসির কার্যালয়।
ইউআর/