যুদ্ধের শুরুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয় জার্মানি। তবে এ অবস্থানের কারণে বর্তমানে জার্মানিতে বাড়ছে অসন্তোষ। কারণ বর্তমানে জার্মানিতে জ্বালানি ও তীব্র গ্যাসের সংকট দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এখন পর্যন্ত জার্মানির সরকারকে বিরোধীদলসহ সবাই রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াকে সমর্থন জানিয়েছে।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানির কনজারভেটিভ পার্টির বেশ কয়েকজন নেতা ‘পশ্চিমা কৌশলের’ কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তাছাড়া কয়েকদিন আগে চালানো একটি জরিপে দেখা গেছে, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে রাশিয়ার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জার্মানি।
তবে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এখনো দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করে।
কিন্তু জার্মানির বেশিরভাগ মানুষ তাদের ঘর উষ্ণ রাখার জন্য গ্যাস ব্যবহার করে থাকেন।
গত মে মাসে ১৯৯১ সালের পর প্রথমবারের মতো জার্মানিতে বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দেয়। মূদ্রাস্ফীতি ৮-এর কাছাকাছি পৌঁছানোয় এমনটি হয়েছে।
এদিকে জার্মানিকে বর্তমান বাস্তবতা মেনে নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ীই কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির কনজারভেটিভ পার্টির নেতা মিখাইল ক্রেশুমার। তিনি স্যাক্সনি অঞ্চলের নেতা।
জার্মানির একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিখাইল ক্রেশুমার বলেছেন, আমাদের পুরোপুরি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধসে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে। যদি আমরা সচেতন না হই, জার্মানি ইন্ডাষ্ট্রিবিহীন হয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, যদি আমরা বুঝতে পারি যে এ মুহূর্তে আমরা রাশিয়ার গ্যাস ছাড়া চলতে পারব না। এটি তীক্ত কিন্তু বাস্তবতা, আমাদের সেই অনুযায়ীই কাজ করতে হবে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেন নিয়ে জার্মান সরকারের বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত দেশটির পশ্চিম দিকটি, এদিকটার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক বেশ ভালো। আর বর্তমান অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের বড় ধাক্কাটা লাগবে জার্মানির পশ্চিম দিকেই, এমনিতেই এদিকটার অবস্থা খারাপ।
মিখাইল ক্রেশুমার বলেছেন, বর্তমানে যুদ্ধ থেমে যাওয়া উচিত। এতে করে জার্মানি বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচবে।
তবে সমালোচকদের মতে যদি এখন যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়া হয় তাহলে রাশিয়া যেসব অঞ্চল দখল করেছে সেগুলোকে বৈধতা দেওয়া হবে। তাছাড়া পরবর্তী আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিতে রাশিয়াকে সময় দেওয়া হবে।
ইউআর/