রাজনৈতিক দলের বার্তা সরকারের কাছে পৌঁছে দেবেন সিইসি

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে রাজনৈতিক দলের বার্তা সরকারের কাছে পৌঁছে দেবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বড় বিতর্ক মাঠে চলছে উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিকালে গণফ্রন্টের সাথে সংলাপে সিইসি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আপনাদের মেসেজগুলো সরকারের কাছে পৌঁছে দেবো। এটা সরকারই করতে পারবে। বিশ্বাস করি নির্বাচনের স্বার্থে যে কোনও সংবেদনশীল উপযুক্ত প্রস্তাব গ্রহণ করার মানসিকতা অবশ্যই যে কোনও দায়িত্বশীল সরকারের থাকবে।

গণফ্রন্টের চেয়ারম্যান মো. জাকির হুসেনের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়। এছাড়া চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি আরও বলেন, নির্বাচন পরিচালনায় কমিশনের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে, বা আছে। নির্বাচনকালীন সরকারকে নিরপেক্ষ থেকে কমিশনকে সহায়তা করতে হবে। সেটা সরকার সাংবিধানিক সংবিধিবদ্ধ দায়িত্ব হবে। কমিশন তার ক্ষমতা সংবিধান, আইন ও বিধিবিধানের আলোকে প্রয়োগ করবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনে নির্বাহী সকল কর্তৃপক্ষকে নির্বাচন কমিশনের আদেশ ও নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে রাজনৈতিক সংলাপের প্রয়োজন উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি উদ্দেশ্য করে সিইসি বলেন, আপনারা নিজেদের মধ্যে আলোচনার দরকার আছে। সরকার কাছেও সে প্রস্তাব দেবেন। এছাড়া সমঝোতার প্রয়োজন আছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসতে পারে রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে।

প্রজেকশন মিটিংয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনে আমাদের প্রচুর সহিংসতা হচ্ছে। অকারণে প্রচারণা, গাড়ি-ঘোড়া, ঢাক-ঢোল নিয়ে, তার চেয়ে প্রজেকশন মিটিংয়ের মতো যদি করা যায়। পৃথিবীর অনেক দেশেই আছে, আমাদের এখানেও যদি করা যায়। আমি আশা করি, আমার সহকর্মী মাননীয় নির্বাচন কমিশনাররা বিবেচনা করে দেখবেন, এটা কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায়।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সকলের সমবেত প্রয়াস দরকার। সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে। এ পর্যন্ত সংলাপে যতগুলো প্রস্তাব পেয়েছি, এর মধ্যে কতগুলো প্রস্তাব অভিন্ন। অস্ত্র শক্তি, অর্থের শক্তি, পেশি শক্তি; এরকম কিছু সংকট আছে। এগুলো আমাদের ওভারকাম করতে হবে, যদি ভোটারদের অবাধ, নির্বিঘ্নে ভোট প্রদানে সুযোগ দিতে হয়।

সিইসি বলেন, জনপ্রশাসনকে বিরাজনীতিকরণ করতে হবে অন্তত নির্বাচনকালীন সময়ে। তারা যেন নিরপেক্ষ থেকে রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসেবে রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করেন। আইন খুবই প্রয়োজনীয়।

তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচন যদি বিতর্কিত হয়ে ব্যাপকভাবে জনপ্রত্যাশাকে ভূলুণ্ঠিত করে তবে কার কী দায় হবে কেবল গন্তব্যই বলতে পারে। আমরা আমাদের সদিচ্ছা ব্যক্ত করছি। কোনও অপশক্তির চাপে মাথা নত না করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। সংসদ নির্বাচন একটি কঠিন ও ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। সকলের আন্তরিক ও সমন্বিত প্রয়াস থাকলে এমন কঠিন কর্মযজ্ঞ সাধন অসাধ্য নয়।

ইউআর/

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img