দেশে দিন যত যাচ্ছে ফের করোনার আক্রান্ত ও মৃত্যু ততই বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আসন্ন ঈদে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট ‘বিএ.৪’ এবং ‘বিএ.৫’ আশঙ্কাজনকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এমন শঙ্কার মধ্যে সারা দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু দাঁড়াল ২৯ হাজার ১৮৮ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ হাজার ৭৯০ জনের দেহে কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৮৬ হাজার ৪৯০ জনে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬৭৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ১০ হাজার ৪৭৭ জন।
২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৭৯৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১০ হাজার ৮২২টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এর আগের দিন (৬ জুলাই) করোনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়। এ সময়ের মধ্যে নতুন করে ১ হাজার ৭২৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।
গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনায় মৃত্যু বেশি না হলেও আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে।
ইউআর/