বাংলাদেশে ব্যবসা করছে এমন প্রায় ৭০ শতাংশ জাপানি কোম্পানি আগামী দুই বছরের মধ্যে তাদের কার্যক্রমের পরিধি বাড়াবে। মঙ্গলবার (৭ জুন) ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ আয়োজিত ডিক্যাব টকে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এ কথা জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সম্প্রতি জেটরো বাংলাদেশের ওপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। সেখানে ৬৮ শতাংশ জাপানের কোম্পানি জানিয়েছে, আগামী দুই বছরের মধ্যে তারা তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে।’
গত এক দশকে জাপানের বিনিয়োগ, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং সহায়তা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নীতি সামঞ্জস্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি এবং সেটি গত এক দশক ধরে রয়েছে।’
জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার বর্তমান সহায়তার পরিমাণ প্রায় ৩০০ কোটি ডলার জানিয়ে নাওকি বলেন, ‘১০ বছর আগে এর পরিমাণ ছিল মাত্র ৩০ কোটি ডলার। এই পরিমাণ সহায়তা বৃদ্ধি অন্য কোনও দেশে করেনি জাপান। এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে প্রচুর উন্নতি হয়েছে। এর আগে অপ্রতুল অবকাঠামো একটি বড় সমস্যা ছিল। আমি আশা করি, জাপানের বিনিয়োগ আগামী পাঁচ বছরে আরও বৃদ্ধি পাবে।’
স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে জাপানে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পায় বাংলাদেশ, কিন্তু ২০২৬ এ মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের পর জাপানের আইনগত বাধার কারণে ওই সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘স্বভাবতই আমাদের নতুন কিছু চিন্তা করতে হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফিজিবিলিটি সমীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেছে। বিষয়টি জাপানের বিবেচনাধীন আছে। আশা করি, এ বছরের মধ্যে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে পারবো।’
বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত হচ্ছে এবং আরও ভালো করতে হবে বলে জানান জাপানের রাষ্ট্রদূত। তবে বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নতির জন্য সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স, মুনাফা ফেরতসহ আরও কয়েকটি বিষয়ে উদ্বেগ আছে। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
২০১৯ সালে দুই দেশের মধ্যে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ সংলাপ হয়েছিল এবং এটি আবার এ বছর হবে বলে তিনি জানান। এছাড়া জাপানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি বিনিয়োগ রোডশো করা হবে।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে ভিশন প্রসঙ্গে নাওকি বলেন, ‘এর মৌলিক ধারণা যেমন: গণতন্ত্র, বাজার-ভিত্তিক ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাসহ অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে একমত পোষণ করে বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসাবে বিবেচনা করে জাপান।
ইউআর/