৫ বছর মেয়াদি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কর্মপরিকল্পনা তৈরি করবে সরকার। সব অংশীজনকে নিয়ে প্রণয়ন করবে জাতীয় আত্মহত্যা প্রতিরোধ কর্মকৌশল। এমন বিধান রেখে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য নীতি, বাংলাদেশ-২০২২ প্রণয়ন করেছে সরকার। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য নীতি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
এর আগে ২৯ মে মন্ত্রীসভার বৈঠকে ‘জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য নীতি- ২০২২’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
এ এম পারভেজ রহিম প্রধান সমন্বয়ক (যুগ্ম সচিব), অটিজম ও এনডিডি সেল, স্বাক্ষরিত গেজেটে মানসিক স্বাস্থ্য নীতিতে বলা হয়েছে, মানসিক স্বাস্থ্যকে দীর্ঘকাল অবহেলা করা হয়েছে। ইতোপূর্বে নেওয়া উদ্যোগগুলোতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সহজলভ্যতা বা সহজপ্রাপ্যতার বিষয়টিকে যেমন আমলে নেওয়া হয়নি, তেমনি যথাযথ অর্থায়নের বিষয়েও মনোযোগ দেওয়া হয়নি। নীতিতে মানসিক স্বাস্থ্য সেবাকে মূলধারায় নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে।
এতে চিকিৎসক, নার্সসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, এনজিওকর্মী-সবার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। এতে ধর্মীয় নেতা/ওঝা-কবিরাজ-বৈদ্যের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য কার্যক্রমের উন্নয়ন ও বাস্তবায়নে অন্তর্ভুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাদের আত্মহত্যার সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ও সংবেদনশীল হতে হবে।
মানসিক স্বাস্থ্য নীতিতে সব অংশীজনকে সঙ্গে নিয়ে একটি জাতীয় আত্মহত্যা প্রতিরোধ কর্মকৌশল প্রণয়ন করা হবে। আত্মহত্যা প্রতিরোধে ব্যাপক প্রচারণা, সচেতনতা কার্যক্রম, তাৎক্ষণিক জরুরি উদ্ধার ব্যবস্থা ও অংশীজনকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলাদেশের ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মানসিক রোগের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে বলেও নীতিতে উল্লেখ করা হয়।
ইউআর/