বরগুনায় অজ্ঞান পার্টি চক্রের খপ্পরে একই এলাকার তিন পরিবারের ১১ সদস্য অচেতন হয়েছেন।
শুক্রবার ( ৬ মে ) রাতে খাবারের সঙ্গে চেতনা-নাশক ওষুধ খাওয়ানো হলে উপজেলার উত্তর খেকুয়ানী গ্রামে শিশু, বৃদ্ধ, নারী, পুরুষসহ ১১ জন অচেতন হয়ে পড়েন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রতিবেশী চাচাতো ভাই আবুল বাশার আয়জুদ্দিন খলিফা, ফজলু খলিফা ও আলতাফ হোসেন খলিফা ঘরের দরজা খোলা দেখে কাছে গিয়ে দেখেন একেক জন একেক জায়গায় অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তখন তিনি কাছে গিয়ে তাদের ডাকাডাকি করে কোনো শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশী শানু হাওলাদার ও শাহানুর হাওলাদারকে ডেকে আনেন।
ঘটনাস্থলে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে রাতেই তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি প্রতিবেশীরা। বর্তমানে ওই হাসপাতালেই তাদের চিকিৎসা চলছে।
শনিবার দুপুর পর্যন্ত তাদের জ্ঞান ফেরেনি।
ধারণা করা হচ্ছে, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা রাতের খাবারের সঙ্গে চেতনা নাশক ওষুধ স্প্রে করে ওই তিন পরিবারের সবাইকে অচেতন করে ঘরে ঢুকে চুরি করেছে।
তবে কী পরিমাণ মালামাল হাতিয়ে নিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ১১ জন হলেন, আয়জদ্দিন খলিফা (৭০) ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৬০), আলতাফ হোসেন খলিফা (৫৫) তার স্ত্রী শেফালী বেগম (৫০), মেয়ে কল্পনা বেগম (৩০), জামাতা সুজন (৩৫), নাতি ইমরান (১২) সানজিনা (৭) এবং ফজলু খলিফা (৪০) ও তার স্ত্রী মাজেদা বেগম (৩৫)।
আয়জদ্দিন খলিফার ছেলে মো. খলিল খলিফা বলেন, ঘটনার রাতে আমি বাড়িতে ছিলাম না। রাতে ঘটনা শুনে আমি স্থানীয় প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় আমার বৃদ্ধ বাবা মাসহ অন্যান্যদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আমতলী হাসপাতালে এনে ভর্তি করেছি। অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে কী কী নিয়েছে তা এখনও বলতে পারছি না।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুমন বিশ্বাস মুঠোফোনে বলেন, খাবারের সঙ্গে চেতনা-নাশক ওষুধ দিয়ে ওই তিন পরিবারের সবাইকে অচেতন করা হয়েছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চেতনা নাশক ওষুধের কার্যকারিতা কমে এলেই তাদের জ্ঞান ফিরে আসবে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, ঘটনা শুনে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের জ্ঞান ফিরলে বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউআর/