চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দর থেকে এবার যারা হজ ফ্লাইটে চড়বেন তাদের সৌদি আরবের বিমানবন্দরেই ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। শুধু ঢাকার বিমানবন্দর থেকে যাওয়া হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন দেশে সম্পন্ন হবে।
বাংলাদেশ থেকে হজ গমনেচ্ছুদের ৯৫ ভাগের বেশি ঢাকা থেকেই সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করেন। সরকার সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে শতভাগ হজ যাত্রীদের বাংলাদেশে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে এবার সৌদি আরবের পক্ষ থেকে ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম চালানো হবে না বলে জানানো হয়।
করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর বিদেশ থেকে গিয়ে হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা থাকার পর এবার তা উন্মুক্ত করা হয়েছে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় দফায় দফায় বৈঠক করে হজ সংক্রান্ত কার্যক্রম চূড়ান্ত করছে। তবে অন্যান্য বছরের চেয়ে অর্ধেকেরও কম মুসল্লি হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সৌদি বিমানবন্দরে সময় ব্যয় করতে হয়। এই দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হজ যাত্রীদের ইমিগ্রেশনের ব্যবস্থা করা হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি হজ যাত্রীদের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে বলে জানায় সরকার সংশ্লিষ্টরা। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ১ লাখ ২৭ হাজার বাংলাদেশি হজযাত্রীর মধ্যে ৬২ হাজার জনের ইমিগ্রেশন হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্পন্ন হয়েছিল।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৯ জুলাই পবিত্র হজ পালিত হতে পারে। এ বছর বিশ্বের প্রায় ১০ লাখ মানুষ সৌদি আরবে হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে ৫৭ হাজার ৫৮৫ বাংলাদেশি হজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এদের মধ্যে ৪ হাজার সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকিরা বেসরকারিভাবে হজে যাবেন।
এদিকে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) হজযাত্রীদের জন্য বিমান ভাড়া যৌক্তিকভাবে নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে। সোমবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে হজ সম্পর্কিত সার্বিক বিষয়াবলি নিয়ে হাবের বৈঠকে বিমান ভাড়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে হাবের সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম যুগান্তরকে বলেন, আমরা চাই আল্লাহর ঘরে মানুষ যেন সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় যেতে পারেন। সেই সঙ্গে বিমানের ভাড়াও যেন কম রাখা হয়, সে দাবি সরকারের কাছে জানিয়েছি। দেখি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে হজ প্যাকেজ ঘোষণা, ফ্লাইটের সময়সূচি, বিমান ভাড়াসহ সার্বিক বিষয়াদি নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। আজ আরেক দফা বৈঠক হবে। এতে বিমান ভাড়া চূড়ান্ত হতে পারে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান যুগান্তরকে বলেন, সরকারি-বেসরকারি সবাইকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অন্যান্য বছর কয়েক মাসের প্রস্তুতিতে হজ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এবার এক মাসের কিছু বেশি সময় আছে। তাই কিছুটা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে অন্যবারের থেকে হজযাত্রীর সংখ্যা কম হওয়ায় আশা করি সব কিছু সুন্দরভাবেই সম্পন্ন হবে।
ইউআর/