কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় ছেলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত পয়ার উদ্দিন (৫৫) নামের একজন মারা গেছেন। সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পয়ার উদ্দিনের বাড়ি উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আব্দুল জলিল পলাতক (২৬)।
ভুক্তভোগীর স্বজনদের বরাত দিয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মামুন উর রশীদ জানান, অভিযুক্ত আব্দুল জলিল একাধিক বিয়ে করেছেন। তার প্রথম দুই স্ত্রী তাকে ডিভোর্স করে চলে গেছেন। তিন মাস আগে তৃতীয় স্ত্রীও নির্যাতন ও যৌতুক মামলা দিয়ে তাকে ডিভোর্স দেন। সেই মামলায় আসামি হয়ে জামিন নিয়েছেন পয়ার উদ্দিন ও তার স্ত্রী জুলেখা খাতুন। ছেলে আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন আব্দুল জলিল। এ জন্য বাবা পয়ার উদ্দিনকে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন।
রবিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে বাবা-ছেলের বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবাকে আঘাত করেন জলিল। উপর্যুপরি আঘাতে পয়ার উদ্দিন রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই লুটিয়ে পড়েন। এ ঘটনায় স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে আসেন জুলেখা খাতুন। তিনি আহত হন। ঘটনার পরই পালিয়ে যান জলিল।
রাত ৯টার দিকে গুরুতর আহত পয়ার উদ্দিনকে রংপুর মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। মাথায় ও বাম হাতে আঘাতপ্রাপ্ত জুলেখাকেও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রাতেই বাড়িতে ফিরে রাজারহাট থানায় ছেলের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এনে মামলা করেন জুলেখা। সোমবার দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পয়ার উদ্দিন মারা যান।
রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু সরকার জানান, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত আব্দুল জলিলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ইউআর/