সাইবার হামলায় অচল হয়ে পড়েছে ইরানের জ্বালানি বিতরণ নেটওয়ার্ক। দেশজুড়ে বন্ধ হয়ে গেছে জ্বালানি সরবরাহ। সাইবার হামলার জন্য কোনো নির্দিষ্ট দেশকে দায়ী না করলেও এর পেছনে বিদেশি দেশের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তেহরানের।
এমন পরিস্থিতিতে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে অচল পরমাণু চুক্তি চলতি বছরের নভেম্বরের শেষে নতুন করে কার্যকর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আবারও সাইবার হামলার শিকার ইরান। পরমাণু স্থাপনা ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের পর এবার দেশটির জ্বালানি সরবরাহ নেটওয়ার্কে চালানো হয়েছে সাইবার হামলা।
ইরান বলছে, সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে দেশটির জ্বালানি বিতরণ নেটওয়ার্ককে অচল করে দেওয়া হয়েছিল। গত মঙ্গলবার হওয়া এই সাইবার আক্রমণের পেছনে একটি দেশ দায়ী বলে অভিযোগ ইরানের।
সাইবার হামলার ঘটনায় কোনো হ্যাকার গ্রুপ দায় স্বীকার না করলেও ইরানের শীর্ষ ইন্টারনেট নীতি-নির্ধারণী সংস্থা বলছে এর পেছনে বিদেশি রাষ্ট্রের বেনামি প্রতিষ্ঠান জড়িত।
হামলার কারণে ইরানজুড়ে বন্ধ রয়েছে জ্বালানি সরবরাহ। দেখা দিয়েছে তেল সঙ্কট। তেলের স্টেশনে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। ক্ষোভ বাড়ছে জনমনে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবরোধ, সরকারের অব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতির কারণে এমনিতেই ইরানের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমে নাজুক হয়ে পড়েছে। তেল সঙ্কট সেই পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে।
যদিও ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে উসকে দিতে পরিকল্পিতভাবে এই সাইবার হামলা চালিয়েছে কোনো বিদেশি শক্তি।
এদিকে, ২০১৫ সালে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে স্বাক্ষরিত ইরানের অচল পরমাণু চুক্তি ফের সচল হওয়ার কথা জানিয়েছে তেহরান। ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, চলতি বছরের নভেম্বরের শেষ দিকে নতুন করে কার্যকর হতে পারে ঐতিহাসিক এ চুক্তি।