আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তৃণমূল থেকে নাম পাঠানোর ক্ষেত্রে বিতর্কিতদের বাদ দিন। দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগীদের নাম কেন্দ্রে পাঠান। কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে ব্রিফিংয়ে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে জমা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কিছু কিছু স্থানে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। তৃণমূল থেকে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে স্থানীয় সরকার পরিষদের মনোনয়নের জন্য প্রস্তাবিত প্রার্থীর তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এর আগেও নাম তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কোনোরূপ স্বজনপ্রীতি ও লোভের বশবর্তী না হয়ে প্রার্থী সম্পর্কে তথ্য গোপন না করে নাম পাঠানোর জন্য দলীয়ভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন থেকে উপজেলা তারপর জেলা হয়ে কেন্দ্রে নামের সুপারিশ আসে।’
‘আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না’, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মীমাংসিত ইস্যু নিয়ে একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের বক্তব্য আত্মঘাতী প্রবণতা ছাড়া আর কিছুই নয়। নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে বিএনপি এখনও পুরনো ধুসর পথে হাঁটছে। সময় ও স্রোতের মতো নির্বাচনও বসে থাকবে না। নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হবে না, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায়; তবে তা ব্যালটের মাধ্যমে নয়, ভিন্ন কোনও অগণতান্ত্রিক ও চোরাগলি পথে। বিএনপি আরও একটি ওয়ান ইলেভেনের স্বপ্নে বিভোর। এ দেশে আর এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে মনে হয় না। দেশের জনগণের ধ্যান-ধারণা বদলে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। জনগণ এখন উন্নয়নপ্রিয়, ভবিষ্যৎদর্শী।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘বিএনপি নিজেরাই নিজেদের ফাঁদে আটকা পড়েছে। তাই তো তারা এখন উভয় সংকটে—না পারছে আন্দোলন জমাতে, না পারছে নির্বাচনে যেতে। যারা গুজব ও অপপ্রচারকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে নিয়েছে, তাদের চেহারা জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে।’