বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেল এর ৫৮তম জন্মদিনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, শিশু-কিশোরদের হৃদয়ে ভালোবাসা আছে, ক্ষোভ আছে, বেদনা আছে। তা যদি আমরা অনুভব করি তাহলে আমরা লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাব। শহীদ শেখ রাসেল বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান হিসেবে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন।
নি:ষ্পাপ এই সন্তানটিকে যারা হত্যা করেছে তাদের কিছু জনের শাস্তি হয়েছে। বাকীরা এখনও পলাতক বা বিদেশে আশ্রয়ে আছে। এদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে শাস্তি দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন তা শোষিত মানুষের বাসযোগ্য ভূমির জন্য। শুধু ভৌগলিক স্বাধীনতা জাতির জন্য যথেষ্ট পরিচয় নয়, মূল লক্ষ্য সাম্য-মৈত্রী- শান্তি ও প্রগতির জয়যাত্রা রচনা করা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সে আরাধ্য জয়যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, এবারের শেখ রাসেল দিবস ভিন্নমাত্রায় এসেছে। এটা হলো করোনাকালের দুর্যোগ-দুর্বিপাক মোকাবেলা করে সুন্দর একটি আগামীর প্রত্যাশা নিয়ে। তিনি আরো বলেন, রাজনীতিতে আমাদের সবাইকে পরিশুদ্ধ হতে হবে।
যারা একদিন ইতিহাসের চাকাকে উল্টো পথে পরিচালনা করেছে ইতিহাস নিয়ে মিথ্যাচার করেছে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে যারা ভুলন্ঠিত করে পাকিস্তানি ভাবধারায় এদেশকে পরিচালনা করেছিল তারা আজও ঘাপটি মেরে আছে তাদের মুখোশ উন্মোচিত করতে হবে এবং ইতিহাস বিকৃতিকারীদের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রীতি সুরক্ষায় এখন থেকে প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে লক্ষণীয় যে, এক্ষেত্রে শিথিলতা হচ্ছে তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। শিশু কিশোরদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাহলে শেখ রাসেল শিশু-কিশোরদের মাঝে বেঁচে থাকবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সফলতা যেন কোন অবস্থায় ব্যার্থ না হয় সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সংগঠনের চেইন অব কমান্ড আমাদের সবাইকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, কিছু ভুইফোড় সংগঠন আজকে ডালপালা মেলেছে। এদের কাছ থেকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, দলের আদর্শিক ত্যাগী নেতাকর্মীদের দলের নেতৃত্বে আনতে হবে। তাহলেই দল আরো শক্তিশালী হবে। আজ সকালে শেখ রাসেল এর ৫৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কর্মসূচী থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এড. সুনীল কুমার সরকার, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা শেখ মো. ইসহাক, কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল মনছুর, বখতেয়ার উদ্দিন খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, এড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ, আবদুল লতিফ টিপু, ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, মোরশেদ আকতার চৌধুরী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মো. ইয়াকুব, আলী নেওয়াজ।
সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, উপদেষ্টা আলহাজ্ব শফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হাসান মাহমুদ শমসের, এড. শেখ ইফতেখার সায়মুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, জোবায়েরা নার্গিস খান, হাজী মো. হোসেন, হাজী জহুর আহমদ, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবদুল আহাদ, শহিদুল আলম, হাজী বেলাল আহমদ, থানা আওয়ামী লীগের সাহাব উদ্দিন আহমেদ, ছিদ্দিক আলম, আনসারুল হক, অধ্যাপক আসলাম হোসেন, মো. মঈন উদ্দিন, রেজাউল করিম কায়সার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাজী রাশেদ আলী জাহাঙ্গীর, সৈয়দ মোহাম্মদ জাকারিয়া, ইকবাল হাসান, আমিনুল হক রঞ্জু, ফয়জুল্লাহ বাহাদুর, আবু তৈয়ব ছিদ্দিকী, নাজিমুল ইসলাম মজুমদার, আবুল কাশেম, আবদুল মান্নান, আসিফ খান, জানে আলম, ইফতেখার আলম জাহেদ, লুৎফুল হক খুশি প্রমুখ।
এর আগে খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন দারুল ফজল মার্কেট মসজিদের পেশ ইমাম আলহাজ্ব মাওলানা ফজলুল কবির।