২০২২ সালের ডিসেম্বরে মেট্রোরেলের বাণিজ্যিক চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আগামী বছর ডিসেম্বরে তরুণ প্রজন্মের মেট্রোরেল যাত্রী নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে চলাচল করতে পারবে। এর আগে পাঁচ মাস পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রী ছাড়া চলবে।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ‘ভায়াডাক্টের উপর প্রথম মেট্রো ট্রেন চলাচল পরীক্ষণের’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, আজ খুবই ভালো লাগছে। শেখ হাসিনার অবদান, মেট্রোরেল দৃশ্যমান। ছয়টি মেট্রোরেলের কাজ ২০৩০ সালে শেষ হবে বলে আমরা আশা করছি। এর ধারাবাহিকতায় কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে।
এর আগে মেট্রোরেল ঘুরে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার ভায়াডাক্টের কাজ সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যাত্রী পরিবহনের আগে পাঁচ মাসের ট্রায়াল দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মেট্রোরেল এখন আর স্বপ্ন না। সমালোচকরা সমালোচনা করবে। আমরা কাজ দিয়ে জবাব দেব। আগামী বছর ইনশাআল্লাহ তিনটি মেগা প্রোজেক্ট বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করতে পারবেন।’
দেশের প্রথম মেট্রোরেল হচ্ছে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে কমলাপুর পর্যন্ত। বর্তমানে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে এটি মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে পর্যন্ত নির্মাণের কাজ চলছে। এটি পরে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত করা হবে।
রাজধানীর যানজট নিরসনে উড়ালসড়ক, বাসের বিশেষ লেন নির্মাণসহ নানা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে বা হচ্ছে। তবে আধুনিক নগর–পরিকল্পনায় ও গণপরিবহনে সবচেয়ে কার্যকর হিসেবে দেখা হয় মেট্রোরেলকে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন গঠন করা হয় ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি (ডিএমটিসিএল)। ২০১৫ সালে জাপানের সহায়তায় এসটিপি সংশোধন (আরএসটিপি) করে মেট্রোরেলের রুট সংখ্যা বাড়ানো হয়।
মেট্রোরেলে উত্তরা থেকে মতিঝিলে যেতে লাগবে ৩৮ মিনিট। ঘণ্টায় দুই দিক থেকে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত স্টেশন হবে ১৬টি। শুরুতে ২৪টি ট্রেন দিয়ে মেট্রোরেল চালু করার কথা রয়েছে। প্রতিটি ট্রেনে প্রাথমিকভাবে ছয়টি করে বগি থাকবে। পরে তা আটটিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে।
প্রাথমিক হিসাব অনুসারে, শুরুতে দিনে চার লাখ ৮৩ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। ২০৩৫ সালে যাত্রীসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৮ লাখের বেশি।